কলকাতা, 30 এপ্রিল : দাবি ছিল ১৬ আনা । গোটা বীরভূম জেলাতেই পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছিল বিরোধীরা । বিশেষ করে BJP । অভিযোগ ছিল, ওই জেলায় নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে । সূত্র জানাচ্ছে, বীরভূম জেলার দুটি কেন্দ্রে স্ক্রুটিনি শেষ । প্রাথমিকভাবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়নি । সূত্র জানাচ্ছে, নদিয়ার দুটি কেন্দ্র ও বহরমপুরে স্ক্রুটিনিও শেষ হয়েছে। সেখানেও কোনও পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ নেই ।
অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দী করেছিল কমিশন । একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান নজর রেখেছিল তাঁর উপর। যদিও, অনুব্রত হুংকার ছেড়েছিলেন, "নজরবন্দী মানি না ।" কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রত ব্যবহার করেছেন ল্যান্ডফোন এবং মোবাইল ফোন । নির্দেশও দিয়েছেন কর্মীদের । সেই সূত্রেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কমিশন নজরদারিতে ব্যর্থ । গোটা বীরভূম জেলাতেই ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে । জেলার বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ভয় দেখানো, রিগিং ও ছাপ্পা হয়েছে । সেই সূত্রেই কংগ্রেস, BJP ও বাম দলগুলি বীরভূমের প্রায় সব বুথেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায় ।
আজ সকাল থেকে শুরু হয় বীরভূমের স্ক্রুটিনি পর্ব । খতিয়ে দেখা হয় মাইক্রো অবজা়রভারদের রিপোর্ট, CCTV ফুটেজ, ওয়েব কাস্টিংয়ের ফুটেজ, ভিডিয়োগ্রাফির ফুটেজ । পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারদের রিপোর্টও খতিয়ে দেখেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক ও অবজ়ারভাররা । সব খতিয়ে দেখার পর কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বীরভূমের কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। একইভাবে বহরমপুর , কৃষ্ণনগর, রানাঘাটেও পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয় ৷