কলকাতা, 21 এপ্রিল : বীরভূমের জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কিন্তু ওই বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায় তিন বছর আগের ৷ তাই এখন কীভাবে তদন্ত এগোবে, তা নিয়ে চিন্তিত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ৷
তিন বছর পর এই দু’টি পৃথক বিস্ফোরণের মামলায় তদন্তে নেমে এবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনায় যে সকল সাক্ষী এখনও পর্যন্ত জীবিত রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে এবং রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার পাঠানো তদন্ত রিপোর্টই কেবলমাত্র ভরসা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র (Survivors are only witness of double blasts cases)। তাছাড়াও ওই দুটি এলাকায় গিয়ে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং সেই সময় করা স্থানীয় থানায় এফআইআর-এর নথি দেখে তদন্তে অগ্রগতি পেতে পারেন এনআইএর গোয়েন্দারা বলে সূত্রের খবর ।
2019 সালের 20 সেপ্টেম্বর বীরভূমের লোকপুর থানার গাংপুর গ্রামে প্রথম বিস্ফোরণটি হয় ৷ বিস্ফোরণে গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায় । একই বছরেই 29 অগস্ট সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামে হাইতুন্নেসা খাতুনের গোয়ালঘরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে । যখন এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে সেই সময়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডির গোয়েন্দারা । কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যে এই প্রকারের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার তরফে গোটা ঘটনার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এনআইএ-কে পাঠাতে হয় । কিন্তু এই ঘটনায় সিআইডি তরফে কোনও রিপোর্ট এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়নি ।
এখানেই সন্দেহ হয় । কেন এই নিয়ম বহির্ভূত কাজ করল সিআইডি ? এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম বলেন, "সিআইডি গোয়েন্দারা ভয় পেয়ে বীরভূমের ওই দুটি বিস্ফোরণের তদন্তের রিপোর্ট এনআইএ-কে দেয়নি ।" নজরুল ইসলাম আরও বলেন, "যদি ঠিকঠাক তদন্ত হয় তাহলে এলাকারই একাধিক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে যেতে পারে । তাই জন্যই সিআইডি নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছে বলে আমার মনে হয় ।"
উল্লেখ্য, ঘটনার তদন্ত ভার পাওয়ার পর সিআইডির দফতরে এনআইএ টিম এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : HC Directs NIA Probe in Blasts Cases : বীরভূমের জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের