বীরভূম, 16 জুলাই: ভোট পরবর্তী হিংসায় যুক্ত বীরভূমের 3 তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের আর্জি জানাল মানবাধিকার কমিশন ৷ তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ও কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ 3 নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল কমিশন ।
2 মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পরেই রাজ্যে জুড়ে আক্রান্ত হয় বিজেপি ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা । এমন অসংখ্য অভিযোগ ওঠের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ ঘটনা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে মাঠে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন । বীরভূমের বোলপুরেও আসেন কমিশনের প্রতিনিধি দল । ইতিমধ্যে কমিশনের সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে হাইকোর্টে । ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূম । প্রথমে রয়েছে কোচবিহার । কোচবিহারে 322 টি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে । বীরভূমে 314 টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । রিপোর্টে হিংসায় যুক্ত থাকায় নাম রয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদের তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের । এছাড়া নাম রয়েছে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান শেখ মামন ও তৃণমূল নেতা পঞ্চনা খানের । এই তিনজনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence : কমিশনের রিপোর্টে 'কুখ্যাত অপরাধী'দের তালিকায় জ্যোতিপ্রিয়-উদয়ন-সুফিয়ান
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ ঘোষ, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, চিৎপুরের তৃণমূল নেতা উমা দাস ও তাঁর স্বামী লাল্টু দাস, নন্দীগ্রাম আসনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান, বিধায়ক খোকন দাস, এমনকি তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম ৷