বোলপুর, 21 সেপ্টেম্বর: শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, কৃতিত্ব স্বয়ং গুরুদেবের । বললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ । তবে তিনি এও বললেন যে, হেরিটেজ হওয়ার জন্য বিশ্বভারতীকে অনেক সহযোগিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার আনন্দে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের রাস্তা জুড়ে প্রায় চার কিলোমিটার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করল তৃণমূল কংগ্রেস । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি-গান, জাতীয় পতাকা সহযোগে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী, বোলপুর নাগরিক সমাজ, বোলপুর পৌরসভা, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেট-সহ আরও অনেকে । বাউল শিল্পী ও আদিবাসী শিল্পীদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহ পর্যন্ত শোভাযাত্রা করা হয় । মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ছাড়াও ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট্য মানুষজন ৷
শোভাযাত্রা শেষে উপাসনাগৃহের সামনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এর কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দিলেও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথাও ৷ তিনি বলেন,
"আমরা গর্বিত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে । এই তকমার কৃতিত্ব একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের । তবে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি শান্তিনিকেতনের চারপাশ সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন । বিশ্বভারতীর পাশে থেকেছেন সব সময় ।"
এ দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে বেশি কিছু বলতে না চাইলেও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেছেন যে, আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যেভাবে বোলপুরের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছিল আমরা দেখেছি । তবে আমরা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছি । উপাচার্যের প্রসঙ্গে কিছু বলব না, তবে বিশ্বভারতীর মান উন্নয়নের জন্য আলোচনার দরজা খোলা । চাইলেই যে কোনও সময় আলোচনা করতে পারেন ।"
আরও পড়ুন: 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমায় উৎসব মুখর শান্তিনিকেতন, উচ্ছ্বসিত ঠাকুর পরিবার