ইলামবাজার, 16 জানুয়ারি: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন 'দিদির দূত' মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এদিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে ইলামবাজারের বেলোয়া গ্রামে যান মন্ত্রী ৷ কেউ একশো দিনের কাজ (100 Days Job) পাননি, কোন শ্রমিক বাড়ি পাননি, কেউ বা সরকারি পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ ওঠে ৷
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য ও প্রান্তিক মানুষের পাশা থাকার জন্য 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বিধায়ক-সাংসদদের 'দিদির দূত' হিসাবে শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সেই মতো বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা দেবাংশু ভট্টাচার্য, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি, বোলপুরের সাংসদ অসিত মালকে।
এদিন ইলামবাজারের নানাসোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলোয়া গ্রামে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে যান রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক (Bolpur MLA) চন্দ্রনাথ সিনহা। প্রথমে গ্রামে একটি সভা করেন তিনি ৷ পরে গ্রাম ঘুরে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন মন্ত্রী ৷ সেই সময় কয়েকজন গ্রামবাসী তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। গ্রামবাসীরা জানান, আবাস যোজনার বাড়ি পাননি প্রকৃত প্রাপকরা, একশো দিনের কাজ পাননি অনেকেই ৷ এমনকী, সরকারি পরিষেবাও সঠিকভাবে পাননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: চড় মারলে পালটা মারুন, প্রয়োজনে বেঁধে রাখুন দিদির দূতকে; নিদান লকেটের
গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাই এদিন মন্ত্রী ঘোষণা করেন প্রতিটি গ্রামে যাবে 10 জনের এক সদস্য দল ৷ তাঁরাই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে ৷ পঞ্চায়েত স্তরে কী কী পরিষেবা পাননি, গ্রামের উন্নয়নের জন্য কোন কোন কাজ করার প্রয়োজন, কোন কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে, এই সকল তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট একটি অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে ৷ এদিন বিক্ষোভ এড়াতে পরবর্তীতে গ্রামে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করে দেব চন্দ্রনাথ সিনহা। যদিও মন্ত্রী স্বীকার করে নেন, এখনও গ্রামাঞ্চলে বহু উন্নয়নমূলক কাজ বাকি রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, "আমরা মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতেই এসেছি। এরপর প্রতিটি গ্রামে আমাদের দলের 10 জন সদস্য যাবেন ৷ মানুষের কী কী প্রয়োজন সেগুলি জেনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেবে ৷ সেই মতো ধাপে ধাপে আমরা চাহিদা মতো বাকি থাকা কাজগুলি করব ৷"