দুবরাজপুর, 3 জুলাই: গরুপাচার কাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি 'বীরভূমের বাঘ' ৷ কিন্তু তাতে কী ? এখনও তিনিই দলের বীরভূমের জেলা সভাপতি ৷ আর পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ফের 'প্রিয় কেষ্ট'র পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের পাঁশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, "কেষ্ট আমাদের ঘরের ছেলে। ওকে মিথ্যা করে ফাঁসানো হয়েছে।"
উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টার বিপর্যয়ে আহত মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্রাম নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকী কোমরে চোটের কারণে তাঁর ফিজিওথেরাপিও চলছে ৷ তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন তিনি সুস্থ আছেন ৷ আর তারপরই ফের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে এখনও বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না ৷ ভার্চুয়ালি বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রাখছেন মমতা ৷ সোমবার তেমনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুবরাজপুরের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি ৷ সেখানে ফিরহাদ হাকিমের তত্ত্বাবধানে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সভা থেকে বিজেপিকে 24-এ উৎখাত করার ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ আর সেখান থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ান তিনি ৷
গরুপাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই প্রথম অনুব্রতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এদিন বীরভূম আসার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ সশরীরে অবশ্য় এদিন দুবরাজপুরের সভায় আসতে পারেননি নেত্রী ৷ ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এই সভায় ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বীরভূমের নির্বাচনী প্রচারে আরও একবার কেষ্ট'র পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
মমতা বলেন, "কেষ্ট আমাদের সকলের ঘরের ছেলে ৷ ও ফিরে আসবেই। ওকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। আজ কেষ্টর নামে বলা হচ্ছে, তাঁর মেয়েকে পর্যন্ত আটকে রেখে দিয়েছে। যদি সে অন্যায় করে আদালতে প্রমাণ করুক। শুধু আটকে রেখে দিয়েছে যাতে, পঞ্চায়েত ভোটটা করতে না পারে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস করতে না পারে।"
আরও পড়ুন: 'বাবার খুনের বিচার চাই', রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দাবি নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ের
একই সঙ্গে মমতার অভিযোগের সুরে বলেন, "আর বিজেপির গদ্দারগুলো যারা কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় করেছে। দুর্নীতির চূড়ান্ত শিরোমণি হয়ে বসে আছে বিজেপি পার্টি। আমরা জানি ওরা কিছু কাজ করতে চায় না। তাই 2024 সালে আমরা বাংলা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে বাংলার বাড়ি করে দেব সবাইকে।"
বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "মহারাষ্ট্র তো দেখলেন। যারা বিজেপিতে গেল তারা কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত। যখন বিজেপিতে যাচ্ছে তখন বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সব সাদা হয়ে যাচ্ছে। কালো গিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের পার্টি করলেই তাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। 100 দিনের কাজের টাকা এখনও দেয়নি। প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা আমাদের বকেয়া রয়েছে।"