তারাপীঠ, 7 অগস্ট: "বহু নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে রাতের অন্ধকারে যোগাযোগ রাখছেন । আমি অভিষেককে শুভেচ্ছা জানাই ৷ অভিষেক এই বেনজল আটকানোর চেষ্টা করছেন।" রবিবার সন্ধ্যায় তারাপীঠে নিজের সিনেমার সাফল্য চেয়ে পুজো দিতে এসে এমনটাই মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য মদন মিত্র।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদনের দুনিয়া থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে যোগ দেন ৷ সেটাই দেখতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ । তবে এবার অন্য ধরনের ঘটনার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গবাসী। বহু দিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা মদন মিত্র এবার টলিউডে পা রাখতে চলেছেন। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির নাম 'ওহ লাভলি'।
এদিন তারাপীঠে মন্দির ঢোকার রাস্তার পাশে মঞ্চ করে তাঁর অভিনীত বাংলা সিনেমার প্রচারে মাতলেন তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা । তারাপীঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতি কী সেটা বোঝার জন্য রাজ্যসভা-বিধানসভার সদস্য হচ্ছেন আর আমরা জানতে চাই, কেন পাঠান বা পুষ্পার মতো সিনেমা বাংলায় হবে না। তাই আমরাও সিনেমায় এসেছি ।" এখানেই দলের কয়েকজনের সম্পর্কে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মদন ।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার ফেসবুক লাইভে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল কামারহাটির বিধায়ককে ৷ তিনি বলেছিলেন, "কিছু দালাল-চিটিংবাজ দলে ঢুকে নোংরামি করছে ৷ দলকে নোংরা করার চেষ্টা করছে । সিপিএম-বিজেপিকে তেল দিয়ে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলকে ছোবল মারার চেষ্টা করছে । নেতা-মন্ত্রীরা নন, দলকে বাঁচালে কর্মীরাই বাঁচাবে । সংকটের সময় নেতা-মন্ত্রীরা ছাদের উপর উঠে যান । আর তাঁর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷"
আরও পড়ুন: 2026 বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিত মদন
ওই দিন মদন মিত্র আরও বলেন, "আমার আর ক'দিন, 2026 সালে আর ভোটে দাঁড়ানোর জায়গায় থাকব না ৷ সৌগতদা (দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়) মনে হয়ে 2024 সালের ভোটে লড়বেন ৷" তাঁর এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মদন বলেন, "মা তারাকে পুজো দেওয়া আমার উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু 2026 সালে আমি মনোনয়ন পাব কি না, সেটা দল ঠিক করবে । হয়তো আমি এত সিনেমায় ব্যস্ত হয়ে গেলাম আর রাজীনীতি করার সময় পেলাম না !"