রামপুরহাট, 4 মে : দিন কয়েক আগেই মুম্বই থেকে ফেরার পর রামপুরহাট মহকুমার তিনজনের কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে । এর মাঝেই আজ বিনা অনুমতিতে ঝাড়খণ্ড থেকে রামপুরহাটে ঢুকে পড়লেন চারজন । পরে পুলিশের তৎপরতায় তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানো হয় । সীমান্তে নাকা চেকিং সত্ত্বেও কীভাবে তাঁরা সেখানে এলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
রামপুরহাট শহর থেকে 12 কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ড সীমানান্ত । রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে প্রায় প্রতিদিনই ঝাড়খণ্ড থেকে অনেকে আসেন । কিন্তু লকডাউনের জেরে কয়েকদিন বন্ধ ছিল ঝাড়খণ্ড সীমানা। পুলিশের নাকা চেকিংও চলছিল । এর মাঝেই আজ ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার পাকুরিয়া থেকে একটি স্করপিও করে রামপুরহাটে আসেন চারজন । রামপুরহাটের কামারপট্টি মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, চিকিৎসা সূত্রেই রামপুরহাটে এসেছেন তাঁরা ।
এবিষয়ে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ইশাক আলি বলেন, "আজ সকালে ডাক্তার দেখাতে পাকুরিয়া থেকে রামপুরহাটে এসেছিলাম। রাস্তায় কোনও পুলিশের চেকিং ছিল না। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম । সেই সময় রামপুরহাটের কামারপট্টি মোড়ে আমাদের আটকায় পুলিশ ।" রামপুরহাট পুলিশের তরফে জানাানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা এই স্করপিও গাড়িটিকে ধরা হয়েছিল । পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়দের একাংশ । তাদের বক্তব্য, দিন কয়েক আগেই রামপুরহাট মহকুমায় মুম্বই থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা করে ফেরত আসা তিনজনের শরীরে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে । সেখানে পুলিশ কী করে ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষকে এভাবে যাতায়াতের অনুমতি দিতে পারে ।