বোলপুর, 23 অগস্ট: বোলপুর থেকে বর্ধমান যাওয়ার পথে অজয় নদের উপর সেতুর ঠিক আগে একটি টোল আদায় কেন্দ্র ছিল ৷ জাতীয় সড়কের উপর বীরভূম জেলা পরিষদের প্যাডে টোল আদায় করা হত ৷ এ নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক ৷ এমনিতেই অনুব্রতর গ্রেফতারি পর থেকে জেলায় চলছে সিবিআই-এর টহল ৷ আর এর মধ্যেই রাতারাতি উধাও ওই টোল আদায়ের কেন্দ্র (Illegal Toll of Birbhum Zila Parishad Vanished) ৷
পরে বোলপুর সুরতেশ্বর শিবতলা মোড়ে ওই টোল আদায় কেন্দ্রর স্থান পরিবর্তন হয় ৷ বীরভূম জেলা পরিষদের নাম লিখে 2বি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে টোল আদায় (Illegal Toll) করা হয়। দিনে হাজারও গাড়ি যায় ওই পথ দিয়ে। ছোট গাড়ির থেকে 10, 20, 30, 50 টাকা আর বড় গাড়ির কাছ থেকে 80, 100, 110 টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করা হয় ওই টোল কেন্দ্রে ৷
গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিনে আদায় হয়। কিন্তু, জাতীয় সড়কের উপর জেলা পরিষদের টোল আদায়ের কোনও এক্তিয়ার নেই ৷ এই টাকা জেলা পরিষদের কোন খাতে জমা পড়ে, তা নিয়েও কোনওদিন মেলেনি সদুত্তর। অভিযোগ, এই টোল আদায় কেন্দ্রের টাকাতেই বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের কার্যালয়ের যাবতীয় খরচ বহন করা হত ৷
আরও পড়ুন: প্রায় 6 ঘন্টা তল্লাশির পর সিবিআই কর্তাদের হাতে অনুব্রত কন্যার নামে থাকা জমির নথি
এতদিন সম্পূর্ণ নিয়ম বহিভূর্তভাবে এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর থেকেই বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে সিবিআই হানা ৷ তাই রাতারাতি উঠে গেল জেলা পরিষদের টোল আদায় কেন্দ্রটি ৷ রং করে মুছে দেওয়া হল জেলা পরিষদের নাম।