শান্তিনিকেতন, 30 সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের তদন্ত কমিটির নির্দেশে একদিকে চলছে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ । অন্যদিকে, স্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পৌষমেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি । শান্তিনিকেতন রোডের উপর ভুবনডাঙার কাছে একটি মঞ্চ বানানো হয়েছে । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চলছে পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর বিরোধী আন্দোলন ।
17 অগাস্ট পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে । রীতিমতো তাণ্ডব চলে বিশ্বভারতীজুড়ে । নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক-কাউন্সিলরদের । এমনকী শান্তিনিকেতন থানার সামনে ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছিল বিশ্বভারতী । বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষার্থে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে কলকাতা হাইকোর্ট । প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গঠিত হয় দুই বিচারপতিকে নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি । তদন্ত কমিটির নির্দেশে শুরু হয় পৌষমেলার মাঠ ঘেরার কাজ ।
স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার । কিন্তু, স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট । তদন্ত কমিটির নির্দেশে একদিকে যখন জোরকদমে পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়ার কাজ চলছে । অন্যদিকে, দিনভর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পৌষমেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি । এদিন শান্তিনিকেতন রোডের উপর ভুবনডাঙার কাছে একটি মঞ্চ বানানো হয় । রবীন্দ্র সংগীত, নৃত্য ও নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলছে প্রাচীর বিরোধী আন্দোলন ।
স্থগিতাদেশ না মেলায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চলছে প্রাচীর নির্মাণের কাজ । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, সিভিক ভলান্টিয়ার, জলকামান । এছাড়াও রয়েছে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা ।