বোলপুর, 3 মে: সেচ দফতরের জমি দখল করে কংক্রিটের নির্মাণ ৷ পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য জায়গা ভাড়া দিয়ে সরকারি জমি থেকেই চলছে উপার্জন। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাঁটাতার দিয়ে সেচ বিভাগের জমি ঘিরে বাগান, ঘাসের লন তৈরি করা হয়েছে শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকে ৷ অভিযোগের তির একটি বেসরকারি হোটেল ব্যবসায়ীর দিকে। এভাবে সরকারি জমি দখল করে অনুষ্ঠানের কাজে ভাড়া দিয়ে বেআইনি উপার্জনের ঘটনায় নির্বিকার প্রশাসন।
তবে সরকারি জমি ঘিরে রাখার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলের তরফে মিলন হালদার বলেন, "জমি ঘিরে সর্বসাধারণের জন্য পার্ক করা হয়েছে 'ভোরের আলো' নামে। সরকারি জমি আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করছি মাত্র। যে কেউ এখানে আসতে পারেন।" প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া কোনও বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে সরকারি জমি কাঁটাতার ও পিলার দিয়ে ঘিরে পার্ক তৈরি করতে পারে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷
বোলপুর-শান্তিনিকেতনে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য তুঙ্গে। তৃণমূল নেতাদের মদতে কোপাই নদীর তীর থেকে নদীবক্ষ দখল করে নেওয়া, আদিবাসী মানুষজনের জমি দখল করে নেওয়া নতুন কিছু নয়। এমন অভিযোগ রয়েছে ভূরি-ভূরি। এবার সরকারি জমি দখল করে বাগান, ঘাসের লন, পার্ক তৈরি করার অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি হোটেল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অনুমতি নেওয়ার কোনও বালাই নেই ৷ শান্তিনিকেতনে প্রান্তিকে 'সোনার তরী' নামে একটি হোটেল রয়েছে ৷ সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ময়ূরাক্ষী সেচ বিভাগের জায়গা কাঁটা তার ও পিলার দিয়ে ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ ৷ শুধু ঘিরে রাখা নয়, কংক্রিটের নির্মাণ পর্যন্ত করা হয়েছে সরকারি জায়গায় ৷
আরও পড়ুন: জমি দখলকে কেন্দ্র করে গুলি-বোমাবাজি, থমথমে মালদার মালতিপুর
এই জায়গা আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে উপার্জনও চলছে ৷ অর্থাৎ, সরকারি জমি দখল করে ঘিরে তা থেকে অবাধে উপার্জন করছে। আর তাতে নির্বিকার প্রশাসন ৷ এনিয়ে ময়ূরাক্ষী সেচ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা আমিন নিয়ে জমি মেপে পুলিশকে জানাব ৷ সরকারি জমি এভাবে ঘিরে রাখা যায় না ৷ জমি উদ্ধার করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার আমরা নেব। এর আগেও সোনাঝুরি এলাকায় সেচ দফতরের বহু জমি আমরা উদ্ধার করেছি ৷"