কলকাতা, 29 অক্টোবর: নয়া সমন পাঠাল ইডি ৷ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে 2 নভেম্বর দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এর আগে 27 অক্টোবর দিল্লির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুকন্যার । কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরায় এড়ান অনুব্রত তনয়া । এরপর ফের তাঁকে 2 নভেম্বর ইডির দিল্লি অফিসে হাজির হতে বলা হল । এবার তিনি কী করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় ।
গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ৷ তাঁর 'হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি' নিয়ে তদন্ত চলছে ৷ এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তাঁর মেয়েকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED issues fresh summons to Anubrata Mondals daughter) ৷
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে সুকন্যা মণ্ডলকে হাজিরার নোটিশ সিবিআইয়ের
একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Anubrata Mondal's chartered accountant, Manish Kothari) ইডির দিল্লি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৷ মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও আনতে বলা হয়েছে ৷ 27 অক্টোবর দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুকন্যা মণ্ডলের ৷ তিনি কিছু ব্যক্তিগত কারণে হাজিরা দেননি বলে জানা গিয়েছে ৷
ইতিমধ্যে, শুক্রবার দিল্লির নিম্ন আদালত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে 8 দিনের জন্য ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ ইডির তরফে কৌঁসুলী এদিন আদালতে আবেদন জানান, দেহরক্ষীর মা এবং স্ত্রীকে ইডির দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হোক ৷ সেখানে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের জেরা করবেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলকে তাঁর নামে থাকা কোম্পানিগুলির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ এর মধ্যে তাঁর রাইস মিলও আছে, যেখানে তিনি অংশীদারি ৷ দু'টি কোম্পানি- এনএম এগ্রোচেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং নীর ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই ৷ গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই ইডির সঙ্গে সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে ৷
দু'টি কোম্পানিতেই সুকন্যা মণ্ডল অন্যতম ডিরেক্টর ৷ তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করেন এই দু'টি কর্পোরেট কোম্পানির মাধ্যমে আসলে গরুপাচার মামলা থেকে পাওয়া টাকা লেনদেনের কাজ হত ৷
সম্প্রতি, সিবিআই তাদের চার্জশিটে জানিয়েছে, 2013-14 অর্থবর্ষে সুকন্যা মণ্ডলের বার্ষিক আয় ছিল 3 লক্ষ 10 হাজার টাকা ৷ 2020-21 সালে যা বেড়ে পৌঁছেছে 1 কোটি 45 লক্ষ টাকায় ৷ এছাড়া তাঁর নামে 3 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও আছে ৷
সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলকে তাঁর নামে থাকা আরও বেশ কিছু সম্পত্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ সেগুলি বাজারদরের থেকে অনেক কম দামে কেনা হয়েছিল ৷ পরে চড়া দামে বিক্রি করার উদ্দেশ্য ছিল অনুব্রত-সুকন্যার ৷
আরও পড়ুন: সায়গল হোসেনকে নিয়ে দিল্লি রওনা পুলিশের