বোলপুর, 11 নভেম্বর: গরুপাচারের টাকা তাঁর কোনও সংস্থায় লগ্নি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চায় ইডি ৷ দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিয়ে একথা জানালেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ মলয় পীঠ (Malay Pit has been interrogated by ED) । তিনি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার ৷
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগেও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছের এই ব্যবসায়ী মলয় পীঠকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই ৷ এমনকী বোলপুরে তাঁর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজে গিয়ে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা ৷ পরে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে অনুব্রত মণ্ডল ও মলয় পীঠের অ্যাকাউন্টে 9 কোটি টাকা লেনদেনের হিসেব পাওয়া গিয়েছে ৷ এছাড়া, দাপুটে তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে ফোনে বহুবার কথোপকথন হয়েছে এই ব্যবসায়ীর ।
আরও পড়ুন: 'জানলার কাচ তুলে দাও !' লটারি নিয়ে প্রশ্ন কানে যেতেই বললেন কেষ্ট
এদিন দিল্লি থেকে বোলপুরে ফিরে মলয় পীঠ বলেন, "গরুপাচার বা কয়লাপাচারের টাকা এই সংস্থায় কোনও ভাবে এসেছে কি না, এটা মূল লক্ষ্য বলে আমার মনে হয়েছে ৷ তাদের (ইডি) সন্দেহের তালিকায় যে সব ব্যক্তিরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের লেনদেন আছে কি না ৷" তাঁর উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সন্তুষ্ট কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেছেন আধিকারিকরা ৷ তাঁর কথায়, "এখনও অবধি তারা সন্তুষ্ট ৷ এটা আমার কাছে ইতিবাচক দিক ৷ দরকার হলে আরও কিছু কাগজপত্র পাঠাব ৷ অথবা আমার অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট থেকে মেল দেব তদন্তকারী সংস্থাকে ৷"
তদন্তে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ মলয় ৷ তিনি বলেন, "আমি তদন্তকারী সংস্থাকে আবেদন করেছি, আমায় একা সবকিছু সামলাতে হয় ৷ যদি সংস্থা কাউকে পাঠায় বা মেল করে দিলে কাজ হয় ৷ আমি তদন্তে সবসময় সাহায্য করতে রাজি ৷ আমি চাই না তদন্তে দেরি হোক ৷ আবার ডাকলে চলে যাব ৷" ইডি তাঁকে কেন ডেকে পাঠালেন ? এর জবাবে মলয় বলেন, "আমি ওদের (ইডি) সন্দেহের তালিকায় আছি ৷ তাই ডেকে পাঠিয়েছে ৷" তবে গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling) অনুব্রত মণ্ডল জড়িত কি না, সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি ৷
9 কোটি টাকা লেনদেন প্রসঙ্গে মলয় বলেন, "ফিক্সড করার জন্য 9 কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল ৷ সেটা শোধও দেওয়া হয়েছে ৷ তবে কোন সময়, কী ভাবে এবং কী চুক্তি ছিল, সে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ আমরা অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছি ৷ অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছি ৷ তাঁর টাকা কীসের টাকা, সেই কৈফিয়ত তিনি দেবেন ৷ এর জন্য বহু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি সংস্থা আছে ৷ এর দায় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না ৷ আমি এর দায় নিইনি ৷" তিনি আরও বলেন, "ইডি যদি তদন্তের স্বার্থে সায়গেল হোসেন, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমার আপত্তি নেই ৷ আমি তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করব ৷"
আরও পড়ুন: 'জানলার কাচ তুলে দাও !' লটারি নিয়ে প্রশ্ন কানে যেতেই বললেন কেষ্ট