রামপুরহাট, 16 সেপ্টেম্বর: চলতি বর্ষার আগে থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে প্রচার চলছে রাজ্যজুড়ে ৷ কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র এই বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 10 হাজার মানুষ ৷ আক্রান্তের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নদিয়া ও উত্তর 24 পরগনা ৷ এবার দুশ্চিন্তার ভাঁজ বীরভূমবাসীর কপালে ৷ বীরভূম সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৷
বীরভূম জেলার পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলা ৷ সেই দুমকা জেলায় গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 8 ৷ দুমকা শহরজুড়ে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে ৷ দুমকার চিকিৎসক বাচ্চা প্রসাদ সিংহ বলেন, "এখনও দুমকা জেলায় 6 জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ৷ আর দু'জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে ৷ সন্দেহ করা হচ্ছে তাঁরা ডেঙ্গি আক্রান্ত ৷ সেইভাবে তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ খোলা হয়েছে ডেঙ্গি ওয়ার্ড। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৷"
ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বীরভূমে আসে ৷ দু'দিন আগেই কৌশিকী অমাবস্যায় ঝাড়খণ্ড থেকে কয়েক হাজার মানুষ তারাপীঠে আসে ৷ এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্যটি থেকে রোজই বাসে রামপুরহাট রেল স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে আসেন কয়েকশো মানুষ ৷
ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ আসেন চিকিৎসার জন্য ৷ বীরভূমে পাথর শিল্পেও ঝাড়খণ্ডের কয়েক'শো শ্রমিক কাজ করতে আসে প্রতিদিন ৷ রামপুরহাট থেকে ঝাড়খণ্ডের সীমানা মাত্র 10 কিমি ৷ আর দুমকা শহরের দূরত্ব মাত্র 56 কিমি ৷ রামপুরহাট-দুমকার মাঝে এই 56 কিমি এলাকায় তেমন কোনও বড়ো হাসপাতাল নেই ৷ তাই এই এলাকার মানুষ হয় দুমকায় যান, নতুবা রামপুরহাটে আসেন চিকিৎসা করাতে ৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধে উড়বে ড্রোন ! জানালেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া
তবে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি ৷ কিন্তু দুমকা এলাকায় ডেঙ্গি ছড়াতেই পুজোর আগে চিন্তায় এলাকাবাসী ৷ রামপুরহাট পৌরসভার পৌরপতি সৌমেন ভকত বলেন, "রামপুরহাট পুরসভা নিয়মমাফিক শহর পরিষ্কারের কাজ করে ৷ মশা মারার কামান দিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ধোঁয়া দেওয়া হয় ৷ ড্রেন পরিষ্কার থেকে আরম্ভ করে রাস্তায় ব্লিচিং দেওয়া, মাইকে সতর্কবার্তা দেওয়া, প্রতিটি কাজে ডেঙ্গি দমনে আমরা তৎপর থাকি ৷ আমি এই বিষয়ে সিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলব ৷"