ETV Bharat / state

Viswa Bharati VC on CM : কান দিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী, বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

author img

By

Published : Apr 10, 2022, 4:19 PM IST

সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে টেনে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই মন্তব্যের সমালোচনা করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ অভিযোগ করলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন’ (Chief Minister Looks Through Her Ears Says Viswa Bharati VC Bidyut Charkraborty) ৷

Chief Minister Looks Through Her Ears Says Viswa Bharati VC Bidyut Charkraborty
Chief Minister Looks Through Her Ears Says Viswa Bharati VC Bidyut Charkraborty

শান্তিনিকেতন, 10 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ অভিযোগ করলেন, ‘কান দিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী’ ৷ অর্থাৎ, নিজের চোখে না দেখে লোকমুখে শোনা কথায় সিদ্ধান্ত নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Looks Through Her Ears Says Viswa Bharati VC Bidyut Charkraborty) ৷ দূরদর্শন শান্তিনিকেতনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি ৷

একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনা প্রসঙ্গে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে আমি ভদ্রলোক বলে জানতাম ৷ কিন্তু, উনি কী করছেন ?’’ এর পর আর কোনও কথা বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট না হলেও, বিশ্বভারতীর মত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যকে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছে ৷

মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ব্যথিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ শান্তিনিকেতন দূরদর্শনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে দলনৈতিক চিন্তাধারা রয়েছে ৷ উনি কান দিয়ে দেখেন ৷’’ তাঁর এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উপাচার্য ৷ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কোনও দলের বা ব্যক্তির নন ৷ তিনি বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, তিনি কারও কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ৷ যা কখনই কাম্য নয় ৷ অর্থাৎ, নিজের দলের নেতাদের কথায় মুখ্যমন্ত্রী বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ৷ সত্যিটাকে যাচাই করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷

আরও পড়ুন : NIRF 2021: দেশের সেরা তালিকায় বিশ্বভারতী 97 নম্বরে, নিন্দার ঝড় সর্বত্র

এ প্রসঙ্গে, তিনি বিশ্বভারতীর আশ্রমের মাঝখান দিয়ে যাওয়া রাস্তা নিয়ে হওয়া বিতর্কটিকে তুলে ধরেন ৷ জানান, আশ্রমের মাঝখান দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে, সেখান দিয়ে ভারী মালবাহী গাড়ি চলে ৷ যার ফলে তৈরি কম্পনে বিশ্বভারতীয় প্রাচীন ঐতিহ্যের ক্ষতি হচ্ছে ৷ চুনসুড়কির তৈরি স্থাপত্যগুলির দেওয়াল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ৷ বিষয়টি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল ৷ এমনকি সেই রিপোর্টও রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী সেই রাস্তাটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন এবং বিশ্বভারতীর তরফে ওই রাস্তায় ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি, বললেন উপাচার্য

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, গতবছর ভোটের আগে সেই রাস্তাটি মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে নিয়ে নেন ৷ কোন অজ্ঞাত কারণে, বা কাদের কথায় তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য ৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ ক্ষতি যা হয়েছে বিশ্বভারতীর মত গর্বের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্তে বিশ্বভারতীর ইতিহাসের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ৷

সবশেষে তিনি যোগ করেন, এই হঠকারি সিদ্ধান্তের মাশুল উপাচার্য হিসেবে তাঁকে যেমন দিতে হবে ৷ তেমনি শাস্তি পাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রতিটি মানুষ ৷ কারণ, রাস্তা নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর স্থাপত্যকে নষ্ট করে দেবে ৷ যার দায় সমাজের উপরে পড়বে ৷

শান্তিনিকেতন, 10 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ অভিযোগ করলেন, ‘কান দিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী’ ৷ অর্থাৎ, নিজের চোখে না দেখে লোকমুখে শোনা কথায় সিদ্ধান্ত নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Looks Through Her Ears Says Viswa Bharati VC Bidyut Charkraborty) ৷ দূরদর্শন শান্তিনিকেতনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি ৷

একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনা প্রসঙ্গে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে আমি ভদ্রলোক বলে জানতাম ৷ কিন্তু, উনি কী করছেন ?’’ এর পর আর কোনও কথা বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট না হলেও, বিশ্বভারতীর মত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যকে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছে ৷

মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ব্যথিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ শান্তিনিকেতন দূরদর্শনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে দলনৈতিক চিন্তাধারা রয়েছে ৷ উনি কান দিয়ে দেখেন ৷’’ তাঁর এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উপাচার্য ৷ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কোনও দলের বা ব্যক্তির নন ৷ তিনি বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, তিনি কারও কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ৷ যা কখনই কাম্য নয় ৷ অর্থাৎ, নিজের দলের নেতাদের কথায় মুখ্যমন্ত্রী বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ৷ সত্যিটাকে যাচাই করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷

আরও পড়ুন : NIRF 2021: দেশের সেরা তালিকায় বিশ্বভারতী 97 নম্বরে, নিন্দার ঝড় সর্বত্র

এ প্রসঙ্গে, তিনি বিশ্বভারতীর আশ্রমের মাঝখান দিয়ে যাওয়া রাস্তা নিয়ে হওয়া বিতর্কটিকে তুলে ধরেন ৷ জানান, আশ্রমের মাঝখান দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে, সেখান দিয়ে ভারী মালবাহী গাড়ি চলে ৷ যার ফলে তৈরি কম্পনে বিশ্বভারতীয় প্রাচীন ঐতিহ্যের ক্ষতি হচ্ছে ৷ চুনসুড়কির তৈরি স্থাপত্যগুলির দেওয়াল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ৷ বিষয়টি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল ৷ এমনকি সেই রিপোর্টও রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী সেই রাস্তাটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেন এবং বিশ্বভারতীর তরফে ওই রাস্তায় ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি, বললেন উপাচার্য

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, গতবছর ভোটের আগে সেই রাস্তাটি মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে নিয়ে নেন ৷ কোন অজ্ঞাত কারণে, বা কাদের কথায় তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য ৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ ক্ষতি যা হয়েছে বিশ্বভারতীর মত গর্বের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্তে বিশ্বভারতীর ইতিহাসের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ৷

সবশেষে তিনি যোগ করেন, এই হঠকারি সিদ্ধান্তের মাশুল উপাচার্য হিসেবে তাঁকে যেমন দিতে হবে ৷ তেমনি শাস্তি পাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রতিটি মানুষ ৷ কারণ, রাস্তা নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর স্থাপত্যকে নষ্ট করে দেবে ৷ যার দায় সমাজের উপরে পড়বে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.