বীরভূম, ২৬ ফেব্রুয়ারি : বেতন দিতে দেরি হতে পারে। এমনই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর জেরে নোটিশ ধরানো হল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। কাকে জিজ্ঞাসা করে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে? তার ব্যাখ্যা চেয়ে উপাচার্যকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে৷
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি নোটিশ জারি করা হয় । সেখানে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে দেরি হবে । বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, অধ্যাপক ও অন্য আধিকারিকদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে যায় । অন্যদিকে, গবেষণারত পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকাও দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকার অভিযোগ রয়েছে। নন নেট ফেলোশিপের টাকাও পাননি অনেক পড়ুয়া৷ এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এসবের মাঝেই বেতন দিতে দেরি হতে পারে এমন বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়, এমন বিজ্ঞপ্তির কারণ কী?
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব(কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) গিরিশ হোসুর জানান, বিশ্বভারতী কেন এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে । বেতন খাতে কোনও ঘাটতি নেই । সব ফান্ড রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে ।
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, বেতন খাতে যে বরাদ্দ UGC পাঠায়, তা সম্পূর্ণ না আসায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল । সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্য ইতিমধ্যেই দিল্লি চলে গেছেন।