ETV Bharat / state

খয়রাশোলে বোমাবাজি-গুলি, তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ - Bombings in Khayrashol panchayat

মুখে কাপড় বেঁধে, মাস্ক পরে তাণ্ডব চলায় দুপক্ষের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দীর্ঘক্ষণ চলে দুই গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি- বোমাবাজি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চণ্ডীচরণ মণ্ডলের গাড়িতেও বোমা মারা হয় ৷

বীরভূম
বীরভূম
author img

By

Published : Sep 4, 2020, 11:11 PM IST

খয়রাশোল, 4 সেপ্টেম্বর : ফের উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে অভিযোগ ৷ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেআইনি কয়লার দখলদারি ঘিরে এই সংঘর্ষ কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ যদিও, আজ রাস্তা তৈরির দাবিকে কেন্দ্র করে কাঁকরতলা থানার বাবুইজোড় পঞ্চায়েত অফিসে চলে বোমাবাজি। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। শাসকদলের দুই পক্ষের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ ৷

অভিযোগ, বীরভূমের দুবরাজপুর, খয়রাশোল অঞ্চলে রয়েছে শতাধিক বেআইনি কয়লা খাদান। এই খাদানগুলির দখলদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শুরু দ্বন্দ্ব বাধে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে , চলে বোমাবাজি-গুলিও। আজ দুপুরে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাবুইজোড় পঞ্চায়েত অফিস চত্বর। বেআইনি কয়লা কারবারের রাশে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই পঞ্চায়েতের দখলদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বাবুইজোড়ে তৃণমূলের ক্ষমতাশীন আব্দুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে দলেরই উজ্জ্বল কাদেরি ঘনিষ্ঠ কেদার ঘোষের সমর্থকদের বিবাদ দীর্ঘ দিনের।

উজ্জ্বল গোষ্ঠীর দাবি, হরিএকতলা গ্রামের ঢালাই রাস্তা তৈরির দাবি জানাতে গ্রামের লোকজন যায় পঞ্চায়েত অফিসে। প্রসঙ্গত, এই রাস্তা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলের সামনে বাম আমলের প্রশংসা করেছিলেন মাঝিগ্রাম বুথ সভাপতি গণেশ রায়। অনুব্রতর রোষে পদ খোয়াতে হয় তাকে। পরে বিক্ষোভের জেরে পুণবহাল হন তিনি। অভিযোগ, এই রাস্তার জন্য আজ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতেই হুমকি দিয়ে বের করে দেয় আব্দুর রহমানের লোকজন। দুই পক্ষের অশান্তি চরম আকার নিলে পঞ্চায়েত অফিসের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারী উজ্জ্বল কাদেরির লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি চালান হয় বলে অভিযোগ । তাদের আরও দাবি, টেন্ডার নিয়েও দুর্নীতি করছে পঞ্চায়েতের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকজন।

দীর্ঘক্ষণ চলে গুলি- বোমাবাজি


দিনের আলোয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে বোমা ছোড়া হয়। পালটা পঞ্চায়েত অফিসে বোমা ছোড়া হয়। চলে গুলিও। দীর্ঘক্ষণ চলে দুই গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি- বোমাবাজি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চণ্ডীচরণ মণ্ডলের গাড়িতেও বোমা মারা হয় ৷ সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসেও চলে ভাঙচুর-তাণ্ডব। মুখে কাপড় বেঁধে, মাস্ক পরে তাণ্ডব চলায় দুপক্ষের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সরকারি অফিসে এই ভাবে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে হতাহতের খবর নেই। গুলি চালানোর কোন খবর নেই ৷"

খয়রাশোল, 4 সেপ্টেম্বর : ফের উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে অভিযোগ ৷ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেআইনি কয়লার দখলদারি ঘিরে এই সংঘর্ষ কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ যদিও, আজ রাস্তা তৈরির দাবিকে কেন্দ্র করে কাঁকরতলা থানার বাবুইজোড় পঞ্চায়েত অফিসে চলে বোমাবাজি। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। শাসকদলের দুই পক্ষের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ ৷

অভিযোগ, বীরভূমের দুবরাজপুর, খয়রাশোল অঞ্চলে রয়েছে শতাধিক বেআইনি কয়লা খাদান। এই খাদানগুলির দখলদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শুরু দ্বন্দ্ব বাধে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে , চলে বোমাবাজি-গুলিও। আজ দুপুরে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাবুইজোড় পঞ্চায়েত অফিস চত্বর। বেআইনি কয়লা কারবারের রাশে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই পঞ্চায়েতের দখলদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বাবুইজোড়ে তৃণমূলের ক্ষমতাশীন আব্দুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে দলেরই উজ্জ্বল কাদেরি ঘনিষ্ঠ কেদার ঘোষের সমর্থকদের বিবাদ দীর্ঘ দিনের।

উজ্জ্বল গোষ্ঠীর দাবি, হরিএকতলা গ্রামের ঢালাই রাস্তা তৈরির দাবি জানাতে গ্রামের লোকজন যায় পঞ্চায়েত অফিসে। প্রসঙ্গত, এই রাস্তা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলের সামনে বাম আমলের প্রশংসা করেছিলেন মাঝিগ্রাম বুথ সভাপতি গণেশ রায়। অনুব্রতর রোষে পদ খোয়াতে হয় তাকে। পরে বিক্ষোভের জেরে পুণবহাল হন তিনি। অভিযোগ, এই রাস্তার জন্য আজ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতেই হুমকি দিয়ে বের করে দেয় আব্দুর রহমানের লোকজন। দুই পক্ষের অশান্তি চরম আকার নিলে পঞ্চায়েত অফিসের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারী উজ্জ্বল কাদেরির লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি চালান হয় বলে অভিযোগ । তাদের আরও দাবি, টেন্ডার নিয়েও দুর্নীতি করছে পঞ্চায়েতের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকজন।

দীর্ঘক্ষণ চলে গুলি- বোমাবাজি


দিনের আলোয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে বোমা ছোড়া হয়। পালটা পঞ্চায়েত অফিসে বোমা ছোড়া হয়। চলে গুলিও। দীর্ঘক্ষণ চলে দুই গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি- বোমাবাজি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চণ্ডীচরণ মণ্ডলের গাড়িতেও বোমা মারা হয় ৷ সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসেও চলে ভাঙচুর-তাণ্ডব। মুখে কাপড় বেঁধে, মাস্ক পরে তাণ্ডব চলায় দুপক্ষের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সরকারি অফিসে এই ভাবে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে হতাহতের খবর নেই। গুলি চালানোর কোন খবর নেই ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.