বোলপুর, 28 এপ্রিল : বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি করতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ অন্য বেঞ্চে সেই মামলা সরাতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে হতাশ বোলপুরের টোটোচালক সুকেশ চক্রবর্তী । তিনি নিজেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভক্ত বা ফ্যান বলে দাবি করেন ৷
'বেঙ্গল টাইগার' লিখে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে ব্যানার বানিয়ে তা তাঁর টোটোতে লাগিয়ে বোলপুর শহরে ঘোরেন টোটোচালক । এলাকায় যা 'ঠাকুরের টোটো' নামে পরিচিত ৷ নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সংক্রান্ত একের পর এক নির্দেশের সমর্থনেই তাঁর এই প্রচার ৷ কিন্তু, এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে হতাশ সুকেশ চক্রবর্তী ৷ 2002 সালের 'দ্য বেঙ্গালুরু প্রিন্সিপ্যাল অফ জুডিশিয়াল কন্ডাক্ট' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানেননি বলে মনে করেছে শীর্ষ আদালত ৷ তবে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরেই ভেঙে পড়েছেন অনেক চাকরি প্রার্থী ৷ অখুশি এই টোটোচালকও ৷ তাঁর মতে, এই নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ তাই এই নির্দেশে তিনি দুঃখিত ৷
একদা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ ঘিরে তিনি হয়ে উঠেছিলেন 'ভগবান', কারও কাছে আবার 'বাঘ'। বোলপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে টোটোর পিছনে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন সুকেশও ৷ তাঁর টোটোর পোস্টের লেখা, 'বেঙ্গল টাইগার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়' । আপনি কত যোগ্য চাকরীপ্রার্থীর মা-বাবার চোখেমুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাঁদের আশীর্বাদ আপনার সঙ্গে থাকবে চিরদিনই।" এদিনের নির্দেশের পর তিনি চান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর পুরনো দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হোক ৷
আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরানো মানে অপশক্তির জয়, মত চাকরিপ্রার্থীদের