লাভপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি : প্রথমা বটব্যালকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল তার বাবা তথা BJP নেতা সুপ্রভাত বটব্যালকেই। আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ। এছাড়া আরও দুই দুষ্কৃতীকে দার্জিলিঙের দক্ষিণ রথখোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত দুই দুষ্কৃতী হল রাজুবটক সরকার ও দীপঙ্কর মণ্ডল। দু'জনেরই বাড়ি দার্জিলিঙের নকশালবাড়ি থানা এলাকার দক্ষিণ রথখোলায়। রাজু পেশায় রাজমিস্ত্রি ও দীপঙ্কর গ্রিল কারখানার কর্মী।
সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) তন্ময় সরকার বলেন, "লাভপুর থানায় একটা খবর আসে। বীরভূম জেলার BJP নেতার মেয়েকে তিনজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী অপহরণ করেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায়। তদন্ত শুরু করে। ঘটনার প্রতিবাদে লাভপুরের বিভিন্ন ব্লকে রাস্তা অবরোধ করা হয়। SP (বীরভূম)-র নির্দেশে তিনটি দল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অবশেষে আজ সকাল ছ'টা নাগাদ উত্তরবঙ্গের ডালখোলা রেল স্টেশনের কাছ থেকে প্রথমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা দু'জন দুষ্কৃতীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, এই দু'জন দুষ্কৃতী সুপ্রভাতবাবু ও তাঁর পরিবারের পূর্ব পরিচিত। সুপ্রভাতবাবু আগে এদের বাড়িতেও গেছেন। অপহরণের আগেরদিন বোলপুরে সুপ্রভাতবাবুর সঙ্গে এই আসামিরা দেখা করেন।"
সুপ্রভাতবাবু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নকশালপন্থী রাজনীতি করতেন। তারপর CPI(M)-এ যোগ দেন। বর্তমানে BJP-র জেলাস্তরের নেতা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। পুলিশ সুপার জানান, কিছুদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওঁকে খোঁজা হচ্ছিল। চাপও তৈরি হয়েছিল। চাপ কাটাতে তিনি অপহরণের ঘটনা সাজান। বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ও সুপ্রভাতবাবুর বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক সহকর্মী এই ঘটনায় জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। দু'জন দুষ্কৃতীর সঙ্গে সুপ্রভাত বটব্যালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"