সিউড়ি, 12 মে : আমেরিকার মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে স্পেশাল অলিম্পিক্সের ইউনিফায়েড ফুটবল টুর্নামেন্ট। আর এই টুর্নামেন্টে ভারতের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন বীরভূমের পাপিয়া মুর্মু (Birbhum Girl Participate in Special Olympics) ।
পাপিয়ার বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি 1 নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবুনি গ্রামে। বর্তমানে তিনি সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পাপিয়ার পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত, তাঁর বাবা একটি ছোট্ট মুদিখানার দোকান চালান। তবে এই জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাঁকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশন। পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের তরফ থেকে আগামিদিনে তাঁর আমেরিকা যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল পাপিয়ার । সে ছোট থেকেই শিক্ষক তথা কোচ মৃণাল মালের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন। জাতীয় দলের হয়ে স্পেশাল অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ার পর পাপিয়া কোচিং নেবেন ললিতা দেবনাথের কাছে থেকে।
আরও পড়ুন : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি বিভাগের দাবিতে পথে আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা
অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর পাপিয়ার প্রস্তুতি আরও জোরদার চলছে। ভোর পাঁচটা থেকে গ্রামের মাঠে চলছে তাঁর প্রস্তুতি। পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় এই স্পেশাল অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বীরভূমের চারজন প্রতিযোগীর নাম উঠে এসেছিল। তবে তাঁদের মধ্যে পাপিয়া মুর্মু গুজরাতে ক্যাম্পে গিয়ে নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পান। সেখানেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয় ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে এখন পাপিয়ার পাসপোর্ট তৈরি কাজ শুরু করেছে সর্বশিক্ষা মিশন। আদিবাসী এই তরুণীর এমন সুযোগে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে জেলার মানুষ।