বীরভূম, 28 এপ্রিল : নজরে নগেন্দ্র ৷ পশ্চিমবঙ্গে অষ্টম দফার নির্বাচনে এটাই হতে পারে অন্যতম ক্যাচলাইন ৷ কারণ, আগামিকাল বৃহস্পতিবার যে জেলাগুলিতে বিধানসভার ভোট হতে চলেছে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা বীরভূমের দায়িত্বে আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠী ৷ তাই আগামিকাল তাঁকে নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই বঙ্গজীবনে ৷
কিন্তু কেন তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা ? তার দু’টো কারণ ৷ প্রথমত, বীরভূম দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জেলা ৷ যাঁকে ইতিমধ্যেই নজরবন্দি করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ তাই তাঁর জেলায় নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর ভূমিকা কী হয়, তা জানতেই উৎসুক জনগণ ৷
জনগণের এই উৎসাহ কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় কারণর মধ্যে ৷ আর তা হল এবারের বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় দফায় 2009 সালের ব্যাচের এই আইপিএল অফিসার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর খবরের শিরোনামে চলে আসা ৷
দ্বিতীয় দফায় ভোট ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে ৷ ওই আসনে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভোট চলাকালীন একটি বুথে গিয়ে আটকে পড়েন মমতা ৷ সেখানেই নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তপ্ত বাদানুবাদের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ সেখানে নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে বলতে শোনা যায় যে খাঁকি পোশাক পরে তিনি কোনও দাগ নেবেন না ৷ নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনের জন্য তাঁকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ আর তার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের তাঁর প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে ৷
রাজ্যের পুলিশ মহল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বরবারই ‘দাবাং’ অফিসার হিসেবে পরিচিত ৷ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় নগেন্দ্র ত্রিপাঠী কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (গোয়েন্দা) ছিলেন । ভোটের দিন বুথ দখল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে একাধিক জনকে তিনি আটক করেছিলেন ।
সেই সময় তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন ৷ তবে ভোটের পর তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ যা নিয়ে সেই সমালোচনা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে ৷
আরও পড়ুন : করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ নয়, জানাল কমিশন
এবার আলোচনা চলছে নন্দীগ্রামে তাঁর ভূমিকা নিয়ে ৷ তার উপর বীরভূমে ভোটের সময় গোলমাল হওয়াই দস্তুর ৷ তাই আগামিকাল নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর দিকেই সব নজর রয়েছে ৷