সিউড়ি, 11 মে: সিউড়ি বেণীমাধব মাঠে হল বামফ্রন্ট ও জাতীয় কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশ। আর সেই সভা থেকেই ফের একবার রাজ্যের শাসকদল এবং কেন্দ্রের শাসকদলকে একযোগে আক্রমণ করলেন অধীর চৌধুরী এবং মহম্মদ সেলিমরা ৷
বৃহস্পতিবারের এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, নরেন চট্টোপাধ্য়ায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক চট্টোপাধ্য়ায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা মিলটন রশিদ-সহ কংগ্রেস ও জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্ব। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "সভা দেখে বোঝা যায় রাজ্য থেকে তৃণমূল নামে শ্বাপদের শেষ হবে। 21 সালে শূন্য ছিলাম, আমরা হারতে পারি কিন্তু হারিয়ে যেতে পারি না। তাই সাগরদিঘিতে ফিরে এসেছি। আমরাই একমাত্র পারি মমতাকে পরাজিত করতে।" সেই সঙ্গে অধীর চৌধুরী অভিযোগের সুরে বলেন, "আমরা হারায় কারা লাভবান হয়েছিল?" তিনি বিজেপির উদ্দেশে বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পরাজয় মানে সাম্প্রদায়িক শক্তির জয়। আরএসএস ছিল 350 জন, 11 বছর পরে চার হাজার পার হয়ে গিয়েছে৷"
তাঁর কথায়, "এটা স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে দিদি কার দালালি করেছেন।" একই সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল আসলে বিজেপির দালালি করছে। তিনি আরও বলেন, "মোদি বড় হিন্দু নাকি দিদি বড় হিন্দু তারই প্রতিযোগিতা চলছে ৷ এনআরসি আবার 2024 সালে আসবে। এনআরসি'র চোখেমুখে জল দিয়ে আবার জাগানো হবে। হিজাব পরে দিদি বোঝালেন এনআরসি আসছে।"
কংগ্রেস সাংসদের দাবি, কর্ণাটকে চার শতাংশ চাকরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেখানে হিন্দু আর মুসলমানে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ৷ আর সে কারণেই সেখানে কংগ্রেস জিতবে। তাঁর অভিযোগ, কর্ণাটকের ভোট হলে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের 'নব জোয়ার যাত্রা'কেও এদিন কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, "খোকাবাবু নতুন শাহেনশা। 300 কোটি টাকা বাজেটের নবজোয়ার যাত্রা করছে। চাকরি নেই, খোলা আকাশের নীচে চাকরির জন্য মানুষ বসে আছে। আর 300 কোটি টাকা বাজেট পাশ করেছে খোকা বাবুর যাত্রার। দিদির মতো মিথ্যাশ্রী খুঁজে পাবেন না। 25 হাজার কোটি টাকা দেউচায় বিনিয়োগ। কী হল দেউচা পাঁচমি ? ডিএ নেই, চাকরি নাই, লক্ষ্মীশ্রী ধোকা। পরিবর্তন আসছে বাংলায় ৷ মানুষ তৈরি। বাংলা মুক্ত হবে।"
আরও পড়ুন: দময়ন্তীর দক্ষতায় আদালতের ভরসা থাকলেও প্রশাসনের আস্থা নেই কেন ?