বর্ধমান, 23 আগস্ট: বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ৷ ঠিক তার আগেরদিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার অনুব্রত-মামলায় সরগরম আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত (CBI Special Court) ৷ অনুব্রত মন্ডলকে জামিন না দিলে তার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় (Bappa Chattapadhyay) নামে এক ব্যক্তি আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে এমনই হুমকি দিয়েছেন বলে এদিন অভিযোগ সামনে আসে ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় জানালেন, স্বাক্ষর জাল করে তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে (Accused Bappa Chattapadhyay reacts in threat letter to CBI special judge incident) ৷
সরকারি কর্মচারি ও পূর্ব বর্ধমানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হেড ক্লার্ক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের বর্ধমান ইউনিটের সহকারি সম্পাদকও বটে। তবে অভিযোগ শোনার পর থেকেই ভয়ে আছি ৷ বর্ধমান আদালতে দাঁড়িয়ে এদিন এমনটাই জানান বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ৷ অভিযুক্ত বলেন, "এটা শোনার পর থেকেই ভয়ে আছি। এটা সম্পূর্ণ ফেক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করা হয়েছে। একাজ করছে বর্ধমান আদালতেরই একজন আইনজীবী। সে আমার ছেলেকেও মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আসলে ওই আইনজীবী বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত।"
এখানেই শেষ নয় ৷ বাপ্পা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, "আমি রাজনৈতিকভাবে কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত নই। ওই চিঠিতে যে স্বাক্ষর করা আছে, সেটা আমার নয়। তদন্ত করে দেখা হোক। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷ আমার সই জাল করে ফাঁসানো হচ্ছে, আমি বিচারককে কোন হুমকি দিইনি ৷"
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে জামিন না দিলে বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি চিঠি
উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চাইছিল সিবিআই ৷ ন’বার জেরা করা হয় অনুব্রতকে ৷ কিন্তু মাত্র একবার হাজির হন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ৷ প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তিনি হাজিরা এড়ান ৷ শেষে বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর 100 জন জওয়ানও গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের সঙ্গে ৷
বাড়ি থেকেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ওইদিনই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করা হয় ৷ বিচারক প্রথম দফায় তাঁকে 10 দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ পরের দফায় তাঁকে আরও চারদিনের জন্য সিবিআইয়ের হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ আগামিকাল ফের তাঁকে আদালতে পেশ করবে সিবিআই ৷