কলকাতা, 25 নভেম্বর: মমতার দেখানো পথে কেষ্টতেই ভরসা অভিষেকের । আপাতত জেলবন্দী থাকলেও বীরভূম জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটে বীরভূমের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । এই বৈঠকে কোনও এক নেতার হাতে দায়িত্ব নয়, বরং জেলার প্রবীণ ও শীর্ষ নেতাদের মিলেমিশে সংগঠন দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক ।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার লবিতে দাঁড়িয়ে বীরভূমের সংগঠন দেখার দায়িত্ব রানা সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, চাঁদু অর্থাৎ চন্দ্রনাথ সিনহা আর আশিস বন্দোপাধ্যায়কে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এদিন সেই চেনা ছক থেকে বেরিয়ে আসেননি তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । বরং অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে সকলকে মিলিতভাবে দল চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । একই সঙ্গে অভিষেকের কড়া নির্দেশ, বাহুবল নয়, নির্বাচনে জিততে হবে সংগঠনের জোরেই । সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করুক দলের নেতারা ।
তিনি আরও বেশি করে জনসংযোগ কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । এবং প্রয়োজনে তিনি নিজে বীরভূম যাবেন, এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বলে খবর ।
ইতিমধ্যে সমস্ত জেলায় নতুন কমিটি গঠন করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল । কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল বীরভূম । সেই কাজ এদিন সেরে ফেললেন অভিষেক । শুক্রবারের সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বীরভূমের দুই নেতা চন্দ্রনাথ সিনহা এবং আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখান থেকেই সকলে মিলে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা । এরপর অভিষেক এদিনের বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত নেন, সাংগঠনিক কোনও বদল হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল ।
তবে এদিনের বৈঠকের পর স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের কেষ্টকে সরিয়ে চেয়ারে অন্য কাউকে বসানোর সাহস কেউ দেখাবে না । কাজেই রামের পাদুকা নিয়ে ভরতের রাজ্য শাসনের মতো অলিখিতভাবে বীরভূমে কেষ্টরাজ চলবে । এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের ৷
আরও পড়ুন: মিঠুনের সভাস্থলেই পালটা সভা করতে হবে, অনুগামীদের কড়া নির্দেশ কেষ্টর