রামপুরহাট, 10 মে: বীরভূম সফরে এসে প্রায় 10 বছর পর দাদুর বাড়িতে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । কথা বললেন মামা-মামির সঙ্গে । অসুস্থ দাদুর খোঁজ নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ খেলেন মামি পম্পা মুখোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি চা ৷ এরপর রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামের মানুষজনের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্যে বিনিময় করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার বীরভূম সফরের মাঝে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎই দাদুর কাছে চলে আসেন তিনি ৷
বীরভূমের রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামেই বড় হয়ে ওঠা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ এই গ্রামে মামার বাড়িতেই থাকতেন তিনি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার নাম অনিল মুখোপাধ্যায় । সম্পর্কে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদু ৷ 9 থেকে 11 মে জনসংযোগ যাত্রায় বীরভূম সফরে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষে কুসুম্বা গ্রামে গিয়ে দাদুর খোঁজ নেন তিনি ৷ দাদু (অনিল মুখোপাধ্যায়) অসুস্থ । সেই বিষয়েই মামা নিহার মুখোপাধ্যায় ও মামি পম্পা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন ৷ এছাড়াও তাঁদের কাছে জানতে চান গ্রামের অবস্থা, স্থানীয় স্কুল ও রাস্তাঘাটের কথা ৷ এদিন মামিমার হাতে বানানো চা খেতে খেতে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি ।
দাদুর বাড়ি থছেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পঁচিশে বৈশাখ বীরভূমে আসার সৌভাগ্য হয়েছে । তারাপীঠে আমাদের অস্থায়ী ক্যাম্প । সেখান থেকে কুসুম্বা গ্রাম বেশি দূরে নয় । অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল এই গ্রামে আসার ৷ প্রায় 10 বছর পর এলাম ৷ দাদুর শরীর অত্যন্ত খারাপ ৷ সেই নিয়ে কথা হল ৷ আসতে আসতে দেখলাম গ্রামের রাস্তা সুন্দর হয়েছে । স্কুল, ক্লাব পাকা হয়েছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার ও জনমুখী প্রকল্প গ্রামে পৌঁছেছে ।" মামি পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, " আগে থেকে কোনও খবর না দিয়ে হঠাৎ করেই এসেছে । খুব ভালো লাগল ৷ অসুস্থ দাদুকে দেখে বলে গেল কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে ৷ নিজে থেকেই কুসুম্বা গ্রামের খবর নিয়েছে ।"
আরও পড়ুন : তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে সাধু-পূজারীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অভিষেকের