বাঁকুড়া, 25 জুন: ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায় ৷ রবিবার ভোর 4টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৷ তবে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে ৷ দুর্ঘটনার কবলে কোনও যাত্রীবাহী গাড়ি নয়, দু'টি মাল গাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি মালগাড়ি বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনে বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল এবং আরেকটি মালগাড়ি চলন্ত অবস্থায় বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই কোনও কারণে ওই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরগামী মালগাড়িটি। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে দু'টি মালগাড়ির একাধিক বগি একের-অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েছে ৷ দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। একেবারে যেন বালাসোরের দুর্ঘটনার পরিস্থিতি ৷ ঘটনার জেরে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার জেরে চলন্ত মালগাড়িটি ও দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটির 5টি বগি ইঞ্জিন-সহ লাইনচ্যুত হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে ছিঁড়ে গিয়েছে ওভারহেড তার। ফলে আদ্রা-খড়গপুর শাখায় আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দুই মালগাড়ির সংঘর্ষের প্রচণ্ড শব্দে রবিবার ভোরবেলা ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। স্থানীয়েরাই এগিয়ে এসে চলন্ত মালগাড়ির ভিতরে আটকে পড়া লোকো পাইলটদের উদ্ধার করেন। চালকদের আহত অবস্থায় ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে যে লাইনে মালগাড়িটি দাঁড়িয়েছিল সেই লাইনে কী করে চলন্ত মালগাড়িটি এল? তবে ফের কি লুপ লাইনে চলে এসেছিল ধাক্কা মারা মালগাড়িটি? আরও একটি প্রশ্ন উঠছে তা হল- ফের কি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ঘটনা ঘটল? তবে স্থানীয় বাসিন্দারা রেলের অসহযোগিতাকে দায়ী করছে এই দুর্ঘটনার জন্য ৷ এই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের আধিকারিক ৷ পৌঁছেছে পুলিশও ৷ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
উল্লেখ্য, গত 2 জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেস বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। ওই সময় একসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও। করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির উপরে। ওই দুর্ঘটনায় 292 জন প্রাণ হারান আহত হন হাজারেরও বেশি যাত্রী ৷
আরও পড়ুন: দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মানলেন কলকাতার যুবক, ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে 292