ETV Bharat / state

Afghanistan Effect : তালিবানের আফগানিস্তানে বন্ধ পাগড়ি রফতানি, চিন্তায় সোনামুখীর তাঁতিরা

তালিবান উত্থানের জেরে বাঁকুড়া থেকে আফগানিস্তানে পাগড়ির রফতানি বন্ধ ৷ মাথায় হাত সোনামুখীর তাঁতিদের ৷ এতদিন পাগড়ি তৈরি করেই দিন গুজরান করেছেন তাঁরা ৷ এখন আফগানিস্তানে অশান্তির আঁচ টের পাচ্ছেন তাঁরাও ৷

turban export stopped to Afghanistan due Taliban unrest affects weavers of Sonamukhi
Afghanistan Effect : বাঁকুড়ার পাগড়ি আর যাচ্ছে না আফগানিস্তানে, চিন্তা বাড়ছে সোনামুখীর
author img

By

Published : Aug 27, 2021, 4:54 PM IST

সোনামুখী (বাঁকুড়া), 27 অগস্ট : তালিবান হানায় ছাড়খাড় আফগানিস্তান ৷ যার রেশ গড়িয়েছে এ রাজ্যেও ৷ টান পড়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর তাঁতিদের রুজি-রোজগারে ৷ এই এলাকার অসংখ্য পরিবার যুক্ত রয়েছে পাগড়ি তৈরির কাজে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, 50-60 বছর আগে সোনামুখীতে এসেছিলেন কয়েকজন কাবুলিওয়ালা ৷ রুজির টানেই ভিন দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ শোনা যায়, সেই সময় স্থানীয় তাঁতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁদের ৷ চলে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ৷ তখনও পর্যন্ত সোনামুখীর তাঁতিরা শাড়ি বুনে দিন গুজরান করতেন ৷ তাঁদের হাতের কাজ মুগ্ধ করে আফগানদের ৷ তাঁরা বাঙালি তাঁতিদের পাগড়ির কাপড় বোনার পরামর্শ দেন ৷ সেই পরামর্শ মনে ধরে সোনামুখীর তাঁতিদেরও ৷ আফগানদের পছন্দ মাফিকই রেশমের পাগড়ি বোনার কাজ শুরু করেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : Handloom Weavers of Bankura : যন্ত্রের দাপটে কর্মহীন তাঁতিরা, ধুঁকছে বাঁকুড়ার রাজগ্রাম

সেই শুরু ৷ তারপর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক ৷ গুণমানে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নজর কেড়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর তাঁতিদের তৈরি পাগড়ি ৷ আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব-সহ নানা দেশে পাগড়ি রফতানি করে আয় বেড়েছে তাঁতিদের ৷ এক-একটি পাগড়ি বিকোয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় ৷ সোনামুখী থেকে পাইকারি দরে তা কিনে নেন স্থানীয় পাইকাররা ৷ তারপর তা পাঠানো হয় কলকাতায় ৷ সেখান থেকে সোনামুখীর পাগড়ি পৌঁছে যায় মধ্য এশিয়ার নানা প্রান্তে ৷

আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানে বন্ধ পাগড়ি রফতানি ৷ মাথায় হাত সোনামুখীর তাঁতিদের ৷ কাজ বন্ধ না করলেও বিক্রি একেবারেই হচ্ছে না ৷ ঘরেই জমছে পাগড়ির পাহাড় ৷ এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ার জোগাড় হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় তাঁতিদের ৷ তাঁরা জানালেন, বাপ, ঠাকুর্দার কাছ থেকে কেবলমাত্র এই একটি কাজই শিখেছেন তাঁরা ৷ এই কাজে আয়ও মন্দ হয় না ৷ কিন্তু তালিবানের হামলায় লাটে উঠেছে কাজ-কারবার ৷ তবে তাঁতিদের আশা, হয়তো কিছুদিন পরই সবকিছু মিটে যাবে ৷ শান্ত হবে আফগানিস্তান ৷ তখন আবার সেদেশে পাগড়ি রফতানি করতে পারবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : Covid Impact : করোনা আবহে ধুঁকছে রামজীবনপুরের তাঁত ও কাঁসা শিল্প

তাঁতিদের সমস্যার কথা অজানা নয় স্থানীয় প্রশাসনেরও ৷ পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে ৷ প্রয়োজনে যাতে তাঁতিদের অর্থসাহায্য করা যায়, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন সোনামুখীর সহ-পৌরপ্রশাসক প্রদীপ লাহা ৷

সোনামুখী (বাঁকুড়া), 27 অগস্ট : তালিবান হানায় ছাড়খাড় আফগানিস্তান ৷ যার রেশ গড়িয়েছে এ রাজ্যেও ৷ টান পড়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর তাঁতিদের রুজি-রোজগারে ৷ এই এলাকার অসংখ্য পরিবার যুক্ত রয়েছে পাগড়ি তৈরির কাজে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, 50-60 বছর আগে সোনামুখীতে এসেছিলেন কয়েকজন কাবুলিওয়ালা ৷ রুজির টানেই ভিন দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ শোনা যায়, সেই সময় স্থানীয় তাঁতিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁদের ৷ চলে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ৷ তখনও পর্যন্ত সোনামুখীর তাঁতিরা শাড়ি বুনে দিন গুজরান করতেন ৷ তাঁদের হাতের কাজ মুগ্ধ করে আফগানদের ৷ তাঁরা বাঙালি তাঁতিদের পাগড়ির কাপড় বোনার পরামর্শ দেন ৷ সেই পরামর্শ মনে ধরে সোনামুখীর তাঁতিদেরও ৷ আফগানদের পছন্দ মাফিকই রেশমের পাগড়ি বোনার কাজ শুরু করেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : Handloom Weavers of Bankura : যন্ত্রের দাপটে কর্মহীন তাঁতিরা, ধুঁকছে বাঁকুড়ার রাজগ্রাম

সেই শুরু ৷ তারপর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক ৷ গুণমানে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নজর কেড়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখীর তাঁতিদের তৈরি পাগড়ি ৷ আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব-সহ নানা দেশে পাগড়ি রফতানি করে আয় বেড়েছে তাঁতিদের ৷ এক-একটি পাগড়ি বিকোয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় ৷ সোনামুখী থেকে পাইকারি দরে তা কিনে নেন স্থানীয় পাইকাররা ৷ তারপর তা পাঠানো হয় কলকাতায় ৷ সেখান থেকে সোনামুখীর পাগড়ি পৌঁছে যায় মধ্য এশিয়ার নানা প্রান্তে ৷

আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানে বন্ধ পাগড়ি রফতানি ৷ মাথায় হাত সোনামুখীর তাঁতিদের ৷ কাজ বন্ধ না করলেও বিক্রি একেবারেই হচ্ছে না ৷ ঘরেই জমছে পাগড়ির পাহাড় ৷ এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ার জোগাড় হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় তাঁতিদের ৷ তাঁরা জানালেন, বাপ, ঠাকুর্দার কাছ থেকে কেবলমাত্র এই একটি কাজই শিখেছেন তাঁরা ৷ এই কাজে আয়ও মন্দ হয় না ৷ কিন্তু তালিবানের হামলায় লাটে উঠেছে কাজ-কারবার ৷ তবে তাঁতিদের আশা, হয়তো কিছুদিন পরই সবকিছু মিটে যাবে ৷ শান্ত হবে আফগানিস্তান ৷ তখন আবার সেদেশে পাগড়ি রফতানি করতে পারবেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন : Covid Impact : করোনা আবহে ধুঁকছে রামজীবনপুরের তাঁত ও কাঁসা শিল্প

তাঁতিদের সমস্যার কথা অজানা নয় স্থানীয় প্রশাসনেরও ৷ পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে ৷ প্রয়োজনে যাতে তাঁতিদের অর্থসাহায্য করা যায়, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন সোনামুখীর সহ-পৌরপ্রশাসক প্রদীপ লাহা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.