বাঁকুড়া, 18 অগস্ট : বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে অবস্থিত শিবক্ষেত্র এক্তেশ্বর ধাম । প্রায় সারা বছরই ভক্তের সমাগম লেগে থাকে এই মন্দিরে ৷ তবে শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এখানে ৷ শুশুনিয়া পাহাড়ের ধারা থেকে ভক্তরা জল সংগ্রহ করে পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এখানে জল ঢালতে আসেন ৷
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে পুণ্যার্থী সমাগমে ভরে ওঠে এক্তেশ্বর শিব মন্দির ৷ আর যতই ভিড় বাড়ে মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাজারের বিক্রেতাদের মুখের হাসি তত চওড়া হয় ৷ ফুল থেকে শুরু করে পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা, বিকিকিনি ভাল হওয়ায় পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখে এখানকার খুচরো ব্যবসায়ীরা ৷
কিন্তু গত দু'বছর ধরে চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্যরকম ৷ করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মন্দির ৷ পুণ্যার্থীদের প্রবেশেও জারি রয়েছে একাধিক কড়া বিধিনিষেধ ৷ তবে সেই বিধি নিষেধে কিছুটা ছাড় দিয়ে শ্রাবণ মাসে মন্দিরে নিয়মমাফিক কিছু ভক্তকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কমিটি ৷ গুটিকয়েক ভক্ত নিয়ে ভরা শ্রাবণেও তাই খরা পরিস্থিতির সম্মুখীন এক্তেশ্বর মন্দিরের খুচরো ব্যবসায়ীরা ৷
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যবসার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক । মহাজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁরা ব্যবসা শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু যা অবস্থা তাতে কীভাবে মহাজনকে সেই টাকা শোধ দেবেন এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে ।
আরও পড়ুন : kalimpong shiva-temple : কালিম্পংয়ের শিবমন্দিরকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন