ETV Bharat / state

আবারও কি নাচবে স্থবির পুতুলগুলো... উত্তর হাতড়াচ্ছেন লাল মাটির মানুষগুলো - ENTERTENMENT WORLD

বাহবা ৷ হাততালি ৷ প্রশংসা ৷ মিলছিল সবই ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা হারাতে হারাতে পুতুল নাচের শিল্প হোঁচট খেতে শুরু করেছিল ৷ পেশা ছেড়ে ছিলেন অনেকেই ৷ কিছু মানুষ অবশ্যই ছিলেন ৷ সরকারি সাহায্য আর আবেগ-- এই ছিল তাঁদের পথ্য ৷ কিন্তু, করোনা-লকডাউন সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়েছে ৷ কী হবে পুতুল নাচের ভবিষ্যত...

DOLL DANCE
আবারও কি নাচবে স্থবির পুতুলগুলো
author img

By

Published : Jun 9, 2021, 7:34 PM IST

Updated : Jun 10, 2021, 12:49 PM IST

বাঁকুড়া, 10 জুন: সালটা ছিল 1977। সোনামুখীর রাধানগর ৷ প্রথম শো । 25 জনের পুতুল নাচের দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ৷ বাহবা ৷ হাততালি ৷ সেই পথ চলা শুরু ৷ একটি বারের জন্য পিছনে ফিরতে হয়নি ৷ বাকিটা তো ইতিহাস ।

ভালই চলছিল সব কিছু ৷ পুজো-পার্বণ ৷ মেলা ৷ পারিবারিক অনুষ্ঠান ৷ রুটিন করে মিলছিল পুতুল নাচের বায়না । বিনোদন ৷ নাটক-থিয়েটারের পাশাপাশি জায়গা পেত পুতুল নাচও ।

কিন্তু, কালের নিয়মে জীবন উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে । পুতুল নাচের জায়গায় এসেছে বায়োস্কোপ।

প্রথমে সিনেমা ছিল স্থিরচিত্র ৷ কিন্তু বিবর্তনের কালে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে ৷ স্থির চিত্র পাল্টে গিয়েছে চলমান উন্নত সিনেমায় । তখন থেকেই মানুষ অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন সিনেমায় । নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আধুনিকতায় মজেছেন । এখন হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ৷ হাতের মুঠোয় বিনোদন । কে আর ঘন্টার পর ঘন্টা খরচ করবে গরমের মধ্যে পুতুল নাচ দেখবার জন্য । ভাঁটা পড়েছে পুতুল নাচ শিল্পে । তবুও বর্তমান সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিল্পীরা পেয়েছেন-পাচ্ছিলেন কাজ । প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মেলায় মিলত পুতুল নিয়ে হাতের কারসাজি দেখানোর সুযোগ । কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পেয়েছিলেন তাঁরা ৷

কিন্তু, সব কিছু যেন ওলোটপালোট করে দিল করোনা ৷ আর তার দোসর হয়ে যেন হাজির হল লকডাউন ৷ আর এই করোনা এবং লকডাউনের জেরে কার্যত যেন সব শেষ হয়ে গেল ৷ আক্ষেপ শিল্পীদের ।

আবারও কি নাচবে স্থবির পুতুলগুলো

আরও পড়ুন:নিখিলেশদের আড্ডা বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চায় কফি হাউস

এখন মানুষ বাইরেই বের হতে পারছেন না ৷ তো কে দেখবেন পুতুল নাচ !

জেলার প্রায় 60 থেকে 70 জন শিল্পী পুতুল নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । আস্তে আস্তে সংখ্যাটা কমে এক অঙ্কে ঠেকেছে । কিন্তু, কাজ নেই । একে একে পুতুল নাচের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা নাম লেখাচ্ছেন অন্য পেশায় ।

একে কদর নেই ৷ রোজগার নেই ৷ টান পড়েছে পেটে ৷ বছর 40-45 বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ৷ হাজারো অভাবের মধ্যেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷ সেই পুতুল-শিল্প আজ অবলুপ্তির পথে । ভালবাসার টানে কয়েক জন আছেন বটে । কিন্তু, সংসার চলবে কী করে, তার কোনও উত্তর তাঁদের জানা নেই ৷ সর্বসাকুল্যে রোজগার বলতে সরকারের দেওয়া মাসিক হাজার টাকা । এই টাকায় টেনেটুনে দিন পাঁচেক হয়তো চলে ।

কী হবে ভবিষ্যত, কেউ জানেন না ! ভরসাস্থল সেই সরকারি সাহায্য ৷ করনো-লকডাউন পূর্ব পরিস্থিতি ফিরলে রোজগার কি বাড়বে... তারও কোনও উত্তর নেই লোকগুলোর কাছে ৷ কিছু একটা স্বপ্ন দু-চোখে বেঁধে জীবনটা শুরু করেছিলেন, পেশাটা বেছে নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, সামনে অন্ধকার ছাড়া আজ আর কিছুই দেখতে পারছেন না মানুষগুলো ৷

সামনে কেবলই দুটো পথ ৷ হয়, এই পেশা ছেড়ে অন্য কিছুকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া ৷ নাহলে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি শিল্পের প্রচার-প্রসার ৷ হয়তো সময়ই এর উত্তর দেবে ৷ উত্তর মিলবে পুতুল নাচের ভবিষ্যতের ৷

বাঁকুড়া, 10 জুন: সালটা ছিল 1977। সোনামুখীর রাধানগর ৷ প্রথম শো । 25 জনের পুতুল নাচের দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ৷ বাহবা ৷ হাততালি ৷ সেই পথ চলা শুরু ৷ একটি বারের জন্য পিছনে ফিরতে হয়নি ৷ বাকিটা তো ইতিহাস ।

ভালই চলছিল সব কিছু ৷ পুজো-পার্বণ ৷ মেলা ৷ পারিবারিক অনুষ্ঠান ৷ রুটিন করে মিলছিল পুতুল নাচের বায়না । বিনোদন ৷ নাটক-থিয়েটারের পাশাপাশি জায়গা পেত পুতুল নাচও ।

কিন্তু, কালের নিয়মে জীবন উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে । পুতুল নাচের জায়গায় এসেছে বায়োস্কোপ।

প্রথমে সিনেমা ছিল স্থিরচিত্র ৷ কিন্তু বিবর্তনের কালে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে ৷ স্থির চিত্র পাল্টে গিয়েছে চলমান উন্নত সিনেমায় । তখন থেকেই মানুষ অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন সিনেমায় । নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আধুনিকতায় মজেছেন । এখন হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ৷ হাতের মুঠোয় বিনোদন । কে আর ঘন্টার পর ঘন্টা খরচ করবে গরমের মধ্যে পুতুল নাচ দেখবার জন্য । ভাঁটা পড়েছে পুতুল নাচ শিল্পে । তবুও বর্তমান সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিল্পীরা পেয়েছেন-পাচ্ছিলেন কাজ । প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মেলায় মিলত পুতুল নিয়ে হাতের কারসাজি দেখানোর সুযোগ । কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পেয়েছিলেন তাঁরা ৷

কিন্তু, সব কিছু যেন ওলোটপালোট করে দিল করোনা ৷ আর তার দোসর হয়ে যেন হাজির হল লকডাউন ৷ আর এই করোনা এবং লকডাউনের জেরে কার্যত যেন সব শেষ হয়ে গেল ৷ আক্ষেপ শিল্পীদের ।

আবারও কি নাচবে স্থবির পুতুলগুলো

আরও পড়ুন:নিখিলেশদের আড্ডা বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চায় কফি হাউস

এখন মানুষ বাইরেই বের হতে পারছেন না ৷ তো কে দেখবেন পুতুল নাচ !

জেলার প্রায় 60 থেকে 70 জন শিল্পী পুতুল নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । আস্তে আস্তে সংখ্যাটা কমে এক অঙ্কে ঠেকেছে । কিন্তু, কাজ নেই । একে একে পুতুল নাচের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা নাম লেখাচ্ছেন অন্য পেশায় ।

একে কদর নেই ৷ রোজগার নেই ৷ টান পড়েছে পেটে ৷ বছর 40-45 বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ৷ হাজারো অভাবের মধ্যেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷ সেই পুতুল-শিল্প আজ অবলুপ্তির পথে । ভালবাসার টানে কয়েক জন আছেন বটে । কিন্তু, সংসার চলবে কী করে, তার কোনও উত্তর তাঁদের জানা নেই ৷ সর্বসাকুল্যে রোজগার বলতে সরকারের দেওয়া মাসিক হাজার টাকা । এই টাকায় টেনেটুনে দিন পাঁচেক হয়তো চলে ।

কী হবে ভবিষ্যত, কেউ জানেন না ! ভরসাস্থল সেই সরকারি সাহায্য ৷ করনো-লকডাউন পূর্ব পরিস্থিতি ফিরলে রোজগার কি বাড়বে... তারও কোনও উত্তর নেই লোকগুলোর কাছে ৷ কিছু একটা স্বপ্ন দু-চোখে বেঁধে জীবনটা শুরু করেছিলেন, পেশাটা বেছে নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, সামনে অন্ধকার ছাড়া আজ আর কিছুই দেখতে পারছেন না মানুষগুলো ৷

সামনে কেবলই দুটো পথ ৷ হয়, এই পেশা ছেড়ে অন্য কিছুকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া ৷ নাহলে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি শিল্পের প্রচার-প্রসার ৷ হয়তো সময়ই এর উত্তর দেবে ৷ উত্তর মিলবে পুতুল নাচের ভবিষ্যতের ৷

Last Updated : Jun 10, 2021, 12:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.