বিষ্ণুপুর, ১৫ মার্চ : "এক সপ্তাহ হয়ে নির্বাচন ঘোষণার। কিন্তু ৪২ জন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। ঝোলা নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে প্রার্থী খোঁজার জন্য। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে বলত তৃণমূল প্রার্থী দিতে দেয়নি।" বিরোধীদের আক্রমণ করে আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীর রামপুর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে এক জনসভায় একথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে প্রথম নির্বাচনী কর্মীসভা তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সদ্য দলত্যাগী সৌমিত্র খাঁকে "ছোটো গদ্দার" বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, "২০১৪ সালে আমাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে কাটাল। তারপর যখন বুঝল এবার আর দলের টিকিট পাবে না, তখন বড় গদ্দারের সঙ্গে ছোটো পালিয়ে গেছে।" মানুষের জন্য কাজ না করলে তৃণমূলে জায়গা নেই। ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "গতকাল অর্জুন সিং BJP-তে গেছে। তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। রাম, শ্যাম, যদু, মধু যেই যাক তৃণমূলের তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করে।"
মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টেনে এনে তিনি বলেন, "আমরা কখনও ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশনে কেটলি হাতে চা বিক্রি করতে দেখিনি। কিন্তু আমরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আজও হাওয়াই চটি পরে, টালির ছাদের ঘরে থেকে ১০ কোটি মানুষের জীবনের উন্নয়নের ধারাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেখেছি।"
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী CPI(M)-র সুস্মিতা বাউরিকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘাঁসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার সৌমিত্র খাঁ এখানে BJP-র টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কাজেই সৌমিত্র খাঁ প্রতিদ্বন্দ্বী হলে লড়াই যে সহজ নয় তা পরিষ্কার শাসক শিবিরে।