ETV Bharat / state

প্রার্থী খুঁজতে ঝোলা নিয়ে ঘুরছে বিরোধীরা: অভিষেক - bishnupur

"এক সপ্তাহ হয়ে নির্বাচন ঘোষণার। কিন্তু ৪২ জন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। ঝোলা নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে প্রার্থী খোঁজার জন্য। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে বলত তৃণমূল প্রার্থী দিতে দেয়নি।"

অভিষেক ব্যানার্জি
author img

By

Published : Mar 15, 2019, 11:57 PM IST

বিষ্ণুপুর, ১৫ মার্চ : "এক সপ্তাহ হয়ে নির্বাচন ঘোষণার। কিন্তু ৪২ জন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। ঝোলা নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে প্রার্থী খোঁজার জন্য। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে বলত তৃণমূল প্রার্থী দিতে দেয়নি।" বিরোধীদের আক্রমণ করে আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীর রামপুর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে এক জনসভায় একথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে প্রথম নির্বাচনী কর্মীসভা তিনি।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সদ্য দলত্যাগী সৌমিত্র খাঁকে "ছোটো গদ্দার" বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, "২০১৪ সালে আমাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে কাটাল। তারপর যখন বুঝল এবার আর দলের টিকিট পাবে না, তখন বড় গদ্দারের সঙ্গে ছোটো পালিয়ে গেছে।" মানুষের জন্য কাজ না করলে তৃণমূলে জায়গা নেই। ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "গতকাল অর্জুন সিং BJP-তে গেছে। তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। রাম, শ্যাম, যদু, মধু যেই যাক তৃণমূলের তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করে।"

মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টেনে এনে তিনি বলেন, "আমরা কখনও ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশনে কেটলি হাতে চা বিক্রি করতে দেখিনি। কিন্তু আমরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আজও হাওয়াই চটি পরে, টালির ছাদের ঘরে থেকে ১০ কোটি মানুষের জীবনের উন্নয়নের ধারাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেখেছি।"

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী CPI(M)-র সুস্মিতা বাউরিকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘাঁসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার সৌমিত্র খাঁ এখানে BJP-র টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কাজেই সৌমিত্র খাঁ প্রতিদ্বন্দ্বী হলে লড়াই যে সহজ নয় তা পরিষ্কার শাসক শিবিরে।

বিষ্ণুপুর, ১৫ মার্চ : "এক সপ্তাহ হয়ে নির্বাচন ঘোষণার। কিন্তু ৪২ জন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। ঝোলা নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে প্রার্থী খোঁজার জন্য। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে বলত তৃণমূল প্রার্থী দিতে দেয়নি।" বিরোধীদের আক্রমণ করে আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীর রামপুর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে এক জনসভায় একথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে প্রথম নির্বাচনী কর্মীসভা তিনি।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সদ্য দলত্যাগী সৌমিত্র খাঁকে "ছোটো গদ্দার" বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, "২০১৪ সালে আমাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে কাটাল। তারপর যখন বুঝল এবার আর দলের টিকিট পাবে না, তখন বড় গদ্দারের সঙ্গে ছোটো পালিয়ে গেছে।" মানুষের জন্য কাজ না করলে তৃণমূলে জায়গা নেই। ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "গতকাল অর্জুন সিং BJP-তে গেছে। তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। রাম, শ্যাম, যদু, মধু যেই যাক তৃণমূলের তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করে।"

মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টেনে এনে তিনি বলেন, "আমরা কখনও ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশনে কেটলি হাতে চা বিক্রি করতে দেখিনি। কিন্তু আমরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আজও হাওয়াই চটি পরে, টালির ছাদের ঘরে থেকে ১০ কোটি মানুষের জীবনের উন্নয়নের ধারাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেখেছি।"

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী CPI(M)-র সুস্মিতা বাউরিকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘাঁসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার সৌমিত্র খাঁ এখানে BJP-র টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কাজেই সৌমিত্র খাঁ প্রতিদ্বন্দ্বী হলে লড়াই যে সহজ নয় তা পরিষ্কার শাসক শিবিরে।

Intro:এক সপ্তাহ হয়ে গেল নির্বাচন ঘোষণার কিন্তু 42 জন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধী এবং বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলগুলি, এটা ঝোলা নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছে প্রার্থী খোঁজার জন্য। অথচ পঞ্চায়েত ভোট হলে বলতো তৃণমূল নাকি প্রার্থী হতে দেয়নি। বাঁকুড়া সোনামুখী তে এভাবেই বিজেপিকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।Body:বাঁকুড়ার সোনামুখীর রামপুর হাই স্কুল ফুটবল মাঠে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার সমর্থণে প্রথম নির্বাচনী কর্মী সভা করলেন তৃণমূল যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্য দলত্যাগী সৌমিত্র খাঁকে 'ছোটো গদ্দার' বলে কটাক্ষ করে বলেন, ২০১৪ সালে আমাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে বেশীরভাগ সময়টাই দিল্লীতে কাটালো। তারপর যখন বুঝলো এবার আর দলের টিকিট পাবেনা তখন 'বড় গদ্দারের সাথে ছোটো গদ্দার পালিয়ে গেছে'। মানুষের জন্য কাজ না করলে তৃণমূলে জায়গা নেই দাবী করে ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং এর প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, গতকাল অর্জুন সিং বিজেপিতে গেছে। তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসেনা। 'রাম, শ্যাম, যদু, মধু যেই যাক তৃণমূলের তাতে কিছুই যায় আসেনা। কারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করে।
তার দাবি, বিষ্ণুপুরে শ্যামল সাঁতরা দু'লক্ষ ভোটে ব্যবধানে জিতবেন।

পঞ্চায়েত ভোটের জের টেনে বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, নির্বাচন ঘোষণা প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। এখনো 'বিরোধীরা প্রার্থী ঘোষণা করতে পারলোনা। পঞ্চায়েত ভোট হলে ওরা বলতো 'তৃণমূল প্রার্থী দিতে দিচ্ছেনা'। এখন এদের কারো 42 জন প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলেও তার দাবী।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সিপিএমের সুষ্মিতা বাউরীকে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘাস ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার সৌমিত্র খাঁ এখানে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কাজেই সৌমিত্র খাঁ প্রতিদ্বন্দ্বী হলে লড়াই যে সহজ নয় তা পরিস্কার শাসক শিবিরে।Conclusion:2016 সিলের বিধানসভা ভোটে, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই সোনামুখী ও বড়জোড়ায় হেরে গিয়েছে তৃণমূল। ফলে এই লোকসভা কেন্দ্রটি ফের নিজেদের দখলে রাখতে সোনামূখী ও বড়জোড়া নিজেদের অনুকূলে হবে শাসক দলকে, এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।


বাইট: অভিষেক ব্যাণার্জি

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.