বাঁকুড়া, 26 মে : অনলাইন ল্যাবরেটরি চালু হতে চলেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । এছাড়াও শুরু হতে চলেছে সিঙ্গল প্রিক সেন্টার । চলতি সপ্তাহে এই দুই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানা গেছে ।
প্রতিদিন গড়ে নতুন এবং পুরানো রোগী মিলিয়ে বাঁকুড়া মেডিকেলের আউটডোরে প্রায় ছয় হাজার রোগীর চিকিৎসা হয়ে থাকে । তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভিনজেলা এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও আসেন । রোগীদের চিকিৎসায় অনেক সময় তাঁদের রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে । এক একজন রোগীর রক্তের একাধিক পরীক্ষার কারণে একাধিক জায়গায় গিয়ে রক্তের নমুনা দিতে হয় । অনেক সময় এর জন্য রোগীকে একাধিকবার প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে যেতে হয় । ফলে যে সমস্ত রোগী দূর-দূরান্ত থেকে আসেন তাঁদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয় । সিঙ্গল প্রিক সেন্টার চালু হলে যে কোনও রোগীর একাধিক রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন হলে তাঁকে এক জায়গায় একবার রক্তের নমুনা দিতে হবে । সেখান থেকে ওই নমুনা ভাগ করে মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
একইভাবে পরীক্ষার রিপোর্ট জানার ক্ষেত্রেও রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয় । একাধিকবার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে তাঁদের আসতে হয় মেডিকেল কলেজে । কোনও রোগী যদি রিপোর্ট হারিয়ে ফেলেন তাহলে তাঁকে নতুন করে আবার পরীক্ষা করাতে হয় । অনলাইন রিপোর্ট পরিষেবা চালু হলে রোগীদের হয়রানি কম হবে । এছাড়াও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রোগীর সমস্ত রিপোর্টের তথ্য সরাসরি পেয়ে যাবেন ল্যাবরেটরি থেকে । বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় বিভিন্ন বিভাগে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা চালাতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে । এই পরিষেবা চালু হলে সেক্ষেত্রে কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, "কলকাতার বাইরে জেলা হাসপাতালের মধ্যে বাঁকুড়ায় প্রথম এই ধরনের অনলাইন পরিষেবা শুরু করছি আমরা । আমাদের আশা, আগামী দিনে এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পুরোটাই যদি সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমে নিয়ে আসতে পারি তাহলে এই রাজ্য থেকে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা যথেষ্ট কমবে । আমাদের রাজ্য তথা জেলায় চিকিৎসা যথেষ্ট ভালো । কিন্তু মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত পরিষেবার কারণে দেশের অন্যত্র ছোটোখাটো চিকিৎসা করাতে চলে যান । এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে এই প্রবণতা যথেষ্ট কমবে ।"