বাঁকুড়া, 3 জুলাই: বাঁকুড়ার এক কন্যাশ্রী'র গল্প ৷ বয়সে সে নাবালিকা কিন্তু বাবা-মা বিয়ে দিচ্ছে তার ৷ তাই বিয়ে রুখতে পুলিশের কাছে হাজির খোদ পাত্রী ৷ শনিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র থানার প্রহরীর চোখে পড়ে একটি মেয়ে থানার এদিক-ওদিক ঘুরছে ৷ প্রহরী প্রথমটায় বুঝতে পারেনি যে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে ৷ "বড়বাবুর কাছে নিয়ে যাবেন আমাকে? বাঁচতে চাই আমি, আরও পড়তে চাই ৷ পনেরো বছর বয়সে আমি কোনওমতেই বিয়ে করতে চাই না ।" বলছিল মেয়েটি ৷
বাবা-মা কিছুতেই মেয়ের ইচ্ছেকে পাত্তা দেয়নি ৷ পাত্র নাকি প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেলেছে, ফলে বিয়ে করতেই হবে ৷ কিন্তু মেয়েটি কন্যাশ্রী ৷ দীপ্ত যে ওর কণ্ঠ । পিয়ালি স্বপ্ন দেখেছে বড় হয়ে বিডিও হবে ৷ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা ঘোঁচাবে ৷ অগত্যা থানার বড়বাবুই ভরসা । তাই মেয়েটি সটাং হাজির হয়েছিল থানায় (Minor stops her own marriage by informing police)৷
আরও পড়ুন: নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে অদম্য লড়াই রিয়া-পূজা-মামনিদের
রবিবার পাত্রসায়রের বিডিও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দু'জনে মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় গ্রামে ৷ মেয়েটির স্বপ্নপূরণের পথ প্রশস্ত করে দেয় । একজন নাবালিকা যেভাবে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে বাল্য বিবাহ একটা অপরাধ, তাতে খুশি প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ ।