ETV Bharat / state

নেই কোয়ারানটিন সেন্টার, হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে ফিরে গাছতলায় আশ্রয় শ্রমিকদের - Lockdown

হেঁটে ঝাড়খণ্ড থেকে বাঁকুড়ায় নিজের বাড়ি ফিরেছেন চার শ্রমিক । প্রশাসনের তরফে 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার কথা বলা হয় । বাড়িতে আলাদা থাকার কোনও জায়গা নেই বলে প্রশাসনকে জানান তাঁরা । কিন্তু, তারপরও প্রশাসনের তরফে কোনও কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি । ফলে, বাধ্য হয়েই গ্রামের বাইরে তিনদিন ধরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

গাছের তলায় আশ্রয় শ্রমিকদের
গাছের তলায় আশ্রয় শ্রমিকদের
author img

By

Published : May 10, 2020, 8:11 PM IST

বাঁকুড়া, 10 মে : হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন । ভেবেছিলেন রাজ্যে নিজের বাড়িতে ফিরলেও সব ঠিক হয়ে যাবে । তাই কষ্ট করে হলেও হেঁটেই বাড়ি ফিরেছেন বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার শালডিহা গ্রামের চারজন । তাঁরা জানতেন বাড়ি ফিরলে আগে 14দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে হবে । কিন্তু, বাড়ি ফিরেও মেলেনি কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা । তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই গাছ তলায় দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা ।

শালডিহা গ্রামের সাগর বাউরীরা তিনজন ঝাড়খণ্ডে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন এবং একজন কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন । সাগর বাউরী বলেন, "সেখানে লকডাউন চলাকালীন যতদিন ছিলেন কোনওরকম অসুবিধায় পড়তে হয়নি ।" তবুও সরকার রাজ্যে ফেরার সুযোগ দিয়েছে । তাই সেখান থেকে কোনওরকম প্রশাসনিক সহযোগিতা নেননি তাঁরা । বাড়ি ফিরতে হেঁটেই রওনা দেন রাজ্যের দিকে । গ্রামের অপর একজন যিনি কলকাতায় থাকতেন, তিনিও একইরকমভাবে কলকাতা থেকে হেঁটে গ্রামে ফিরেছেন ।

তবে সাগর জানান, "ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢোকার সময় পুলিশ আটক করে । আমাদের বাঁকুড়া থানায় এসে হস্তান্তরিত করে । বাঁকুড়া থানা থেকে গাড়ি করে ইন্দপুর থানায় পৌঁছে দেওয়া হয় । সেখান থেকে থানা কোনওরকম ব্যবস্থা না করেই ছেড়ে দেয় ।" তাঁরা বাধ্য হয়ে আবার হেঁটে নিজেদের গ্রামে পৌঁছান । থানার তরফে তাঁধের শুধু জানানো হয়, তাঁরা যেন 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকেন । কিন্তু তাদের যে পারিবারিক পরিস্থিতি, সেখানে বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গেই তাঁদের থাকতে হবে । একা থাকার জন্য আলাদা কোনও ঘর নেই ।

তাই সাগর ও তার দুই বন্ধু এখন আশ্রয় নিয়েছেন শালডিহা গ্রামের স্কুল হোস্টেলের সামনের মাঠে গাছ তলায় । তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসন তাঁদের বলেছে 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকতে । কিন্তু বাড়িতে জায়গা কম থাকায় তা সম্ভব নয় । তাঁদের থেকে যদি কোরোনা সংক্রমণ হয়, সেই ভয়ে তাঁরা গ্রামের ভিতরেও থাকতে চান না । গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে আবেদন করে যাতে তাঁদের স্থানীয় কোনও স্কুল অথবা হোস্টেল অথবা হাসপাতালে কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয় । তবে, এখনও কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি ।

আজ তিন দিন হল তাঁরা ওই একইরকমভাবে খোলা মাঠে দিন কাটাচ্ছেন । তাঁদের অভিযোগ, কোরোনায় আক্রান্ত না হলেও অনাহার এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য থেকেই প্রাণ হারাবেন তাঁরা । এ বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, বিষয়টি পঞ্চায়েত স্তরে জানানো হয়েছে এবং পঞ্চায়েতের তরফেই ব্যবস্থা করা হবে । শালডিহা গ্রামের ব্যবসায়ী কিশলয় পতি বলেন, "ব্লক প্রশাসন যেভাবে গাফিলতি করছে এই বিষয়ে, তাতে হয়তো বাঁকুড়া আগামী দিনে আর গ্রিন জ়োন থাকবে না ।"

বাঁকুড়া, 10 মে : হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন । ভেবেছিলেন রাজ্যে নিজের বাড়িতে ফিরলেও সব ঠিক হয়ে যাবে । তাই কষ্ট করে হলেও হেঁটেই বাড়ি ফিরেছেন বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার শালডিহা গ্রামের চারজন । তাঁরা জানতেন বাড়ি ফিরলে আগে 14দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে হবে । কিন্তু, বাড়ি ফিরেও মেলেনি কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা । তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই গাছ তলায় দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা ।

শালডিহা গ্রামের সাগর বাউরীরা তিনজন ঝাড়খণ্ডে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন এবং একজন কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন । সাগর বাউরী বলেন, "সেখানে লকডাউন চলাকালীন যতদিন ছিলেন কোনওরকম অসুবিধায় পড়তে হয়নি ।" তবুও সরকার রাজ্যে ফেরার সুযোগ দিয়েছে । তাই সেখান থেকে কোনওরকম প্রশাসনিক সহযোগিতা নেননি তাঁরা । বাড়ি ফিরতে হেঁটেই রওনা দেন রাজ্যের দিকে । গ্রামের অপর একজন যিনি কলকাতায় থাকতেন, তিনিও একইরকমভাবে কলকাতা থেকে হেঁটে গ্রামে ফিরেছেন ।

তবে সাগর জানান, "ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢোকার সময় পুলিশ আটক করে । আমাদের বাঁকুড়া থানায় এসে হস্তান্তরিত করে । বাঁকুড়া থানা থেকে গাড়ি করে ইন্দপুর থানায় পৌঁছে দেওয়া হয় । সেখান থেকে থানা কোনওরকম ব্যবস্থা না করেই ছেড়ে দেয় ।" তাঁরা বাধ্য হয়ে আবার হেঁটে নিজেদের গ্রামে পৌঁছান । থানার তরফে তাঁধের শুধু জানানো হয়, তাঁরা যেন 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকেন । কিন্তু তাদের যে পারিবারিক পরিস্থিতি, সেখানে বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গেই তাঁদের থাকতে হবে । একা থাকার জন্য আলাদা কোনও ঘর নেই ।

তাই সাগর ও তার দুই বন্ধু এখন আশ্রয় নিয়েছেন শালডিহা গ্রামের স্কুল হোস্টেলের সামনের মাঠে গাছ তলায় । তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসন তাঁদের বলেছে 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকতে । কিন্তু বাড়িতে জায়গা কম থাকায় তা সম্ভব নয় । তাঁদের থেকে যদি কোরোনা সংক্রমণ হয়, সেই ভয়ে তাঁরা গ্রামের ভিতরেও থাকতে চান না । গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে আবেদন করে যাতে তাঁদের স্থানীয় কোনও স্কুল অথবা হোস্টেল অথবা হাসপাতালে কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয় । তবে, এখনও কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি ।

আজ তিন দিন হল তাঁরা ওই একইরকমভাবে খোলা মাঠে দিন কাটাচ্ছেন । তাঁদের অভিযোগ, কোরোনায় আক্রান্ত না হলেও অনাহার এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য থেকেই প্রাণ হারাবেন তাঁরা । এ বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, বিষয়টি পঞ্চায়েত স্তরে জানানো হয়েছে এবং পঞ্চায়েতের তরফেই ব্যবস্থা করা হবে । শালডিহা গ্রামের ব্যবসায়ী কিশলয় পতি বলেন, "ব্লক প্রশাসন যেভাবে গাফিলতি করছে এই বিষয়ে, তাতে হয়তো বাঁকুড়া আগামী দিনে আর গ্রিন জ়োন থাকবে না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.