বাঁকুড়া, 21 জুন : বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর, জয়পুর, কোতুলপুর, ইন্দাস ব্লক এলাকায় কম খরচে তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের (Farmers make Profit on Sesame Cultivation)। লাভের মুখ দেখছেন তাঁরা । বঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করলেও পশ্চিমের জেলাগুতিতে প্রবল বৃষ্টিপাত না হলে আর্থিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য ।
তিল চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আলু ও আমন ধান তোলার পর ক্ষেত যখন খালি থাকে, সেই খালি জমিতেই খুব সহজে তিল চাষ করা যায় ৷ তিল চাষে সার ও কীটনাশক খরচ অন্যান্য ফসলের মতো লাগে না বললেই চলে। এমনকী তিলের গাছ পিচ্ছিল হওয়ার জন্য গরু-ছাগলে তিল খায় না । তাই ফসল নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই ।
জমিতে অতি সামান্য চাষ দিয়ে জমি সমান করে তিলের বীজ ছড়ালেই চলে । প্রতি বিঘায় প্রয়োজন 2 কেজি বীজ । পোকা না ধরায় কীটনাশকেরও দরকার হয় না। সেচ, সার, নিড়ানি নিয়ে তিন মাসের মধ্যে পাকা পরিপুষ্ট তিল কৃষকের বাড়িতে ওঠে । তারপর প্রখর রোদে তিল গাছকে শুকিয়ে চলে ঝাড়াইয়ের পালা ।
আরও পড়ুন : জঙ্গলমহলে ড্রাগন ফলের চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা আদিবাসী যুবকের
এই বছরে তিলের ফলন ভাল হওয়ার পাশাপাশি বাজারে বেশ ভাল দামও রয়েছে ৷ 1 কুইন্টাল তিলের দাম 6 হাজার টাকা । সার্বিকভাবে চাষিরা এক বিঘা জমিতে তিল চাষ করে এই মরশুমে 10 থেকে 12 হাজার টাকা লাভ করছেন। এতেই আশায় বুক বাঁধছেন চাষিরা ৷