ETV Bharat / state

বাঁকুড়ায় সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলল পরিবারের লোকজন - Child thrown

গতকাল রাত ন'টা । বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজের কাছে এক মহিলাসহ তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন । মহিলার কোলে এক শিশু ছিল । ওই ব্রিজের কাছেই চায়ের দোকান রয়েছে সুমন্ত লোহার । তাঁর চোখের সামনে ঘটে গোটা ঘটনা । সুমন্ত জানান, তাঁর চোখের সামনে সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদিতে ফেলে দেওয়া হয় ।

অভিযুক্ত মহিলা
author img

By

Published : Jul 27, 2019, 2:35 AM IST

Updated : Jul 27, 2019, 2:53 AM IST

বাঁকুড়া, 27 জুলাই : এক সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলল বাড়ির লোকজন । অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পথচলতি মানুষ । কেন তারা সদ্যোজাতকে নদীতে ফেলে দিল, জবাব চেয়ে তিন অভিযুক্তকে ঘেরা করা হয় । পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায় । তবে তাদের নাম জানা যায়নি । ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজের । পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবারি এলাকায় তাদের বাড়ি । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জীবিত অবস্থায় সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলা হয় । বাঁকুড়া থানার পুলিশ নদী থেকে সদ্যোজাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে ।

গতকাল রাত ন'টা । বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজের কাছে এক মহিলাসহ তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন । মহিলার কোলে এক শিশু ছিল । ওই ব্রিজের কাছেই চায়ের দোকান রয়েছে সুমন্ত লোহার । তাঁর চোখের সামনে ঘটে গোটা ঘটনা । তিনি বলেন, "আমি দোকানে বসেছিলাম । দোকান থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম অনেকক্ষণ ধরে ব্রিজের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল এক মহিলা, যুবক ও ওই ভদ্রলোক । আমি প্রথমে অতটা পাত্তা দিইনি । কিন্তু, অনেকটা সময় কেটে গেলেও ওরা যাচ্ছিল না । এদিক সেদিক করছিল । তা দেখে আমার সন্দেহ হয় । মহিলার কোলে একটি কাপড় ছিল । দেখে মনে হচ্ছিল কোনও বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আছে । দোকান থেকে ওদের দিকে এগিয়ে এলাম । আমার সন্দেহই ঠিক ছিল । ওই কাপড়ের ভিতর থেকে এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম । এত রাতে এখানে কী করছে? মনে প্রশ্ন জাগে আমার । এবারে ওরা ব্রিজের মুখ থেকে একটু এগিয়ে যেতে শুরু করে । আমিও পিছু নিই । তখনও কেঁদে চলেছে ওই শিশু । কিছুটা যাওয়ার পর দেখি ওই লোকটি টর্চ বের করে নদীর জল দেখছে । তার কয়েক মুহূর্ত পর দেখলাম, চারদিকে তাকিয়ে ওই মহিলা কোলের বাচ্চাকে ব্রিজ থেকে ছুড়ে ফেলে দিল । তখনও কান্নার আওয়ার পাচ্ছিলাম ।"

bankura
অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ

বাচ্চাকে নদীতে ছুড়ে ফেলার দৃশ্য দেখে ততক্ষণে চিৎকার করতে শুরু করেছেন সুমন্ত । চিৎকার শুনে আরও অনেকেই সেখানে জড়ো হয়েছেন । সুমন্তর মুখে ঘটনা শুনে হতবাক পথচলতি লোকজন । তাঁরা অভিযুক্তদের ঘেরাও করেন । খবর পেয়ে কিছুক্ষণে মধ্যে এলাকায় আসে বাঁকুড়া থানার পুলিশ । তবে পুলিশকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । সদ্যোজাতকে খোঁজার কাজ শুরু করার দাবি ওঠে । পুলিশকর্মীরা জানান, শিশুকে উদ্ধারের কাজ শিগগিরই শুরু হবে ।

যে মহিলা শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল তাকে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করতে থাকেন । অভিযুক্ত মহিলা প্রথমে বলে, ওই শিশুকে মৃত অবস্থায় তারা এখানে এনেছিল । সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না । চিকিৎসকরা জবাব দিয়েছিলেন । সেকারণে তারা শিশুকে ফেলে দেয় । যদিও চাপের মুখে পরে স্বীকার করে, ওই শিশু জীবিত ছিল ।

bankura
পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল একজন ব্যক্তি । সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলে, "গতকাল PG হাসপাতালে জন্ম হয় ওই শিশুর । চিকিৎসকরা জানান, বাচ্চাটির অবস্থা খারাপ । তাকে বাঁচানো কঠিন । কোমরের হাড় নেই । বাচ্চার মায়ের অবস্থাও খারাপ । বাচ্চাকে ওই অবস্থায় দেখলে সে কষ্ট পাবে । আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে । সেকারণে সদ্যোজাতকে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।"

অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । বাঁকুড়া থানা সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । বাচ্চার খোঁজ চলছে । অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । তারা কেন জীবিত শিশুকে নদী থেকে ছুড়ে ফেলল তা খতিয়ে দেখা হবে ।

বাঁকুড়া, 27 জুলাই : এক সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলল বাড়ির লোকজন । অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পথচলতি মানুষ । কেন তারা সদ্যোজাতকে নদীতে ফেলে দিল, জবাব চেয়ে তিন অভিযুক্তকে ঘেরা করা হয় । পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায় । তবে তাদের নাম জানা যায়নি । ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজের । পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবারি এলাকায় তাদের বাড়ি । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জীবিত অবস্থায় সদ্যোজাতকে ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলা হয় । বাঁকুড়া থানার পুলিশ নদী থেকে সদ্যোজাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে ।

গতকাল রাত ন'টা । বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজের কাছে এক মহিলাসহ তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন । মহিলার কোলে এক শিশু ছিল । ওই ব্রিজের কাছেই চায়ের দোকান রয়েছে সুমন্ত লোহার । তাঁর চোখের সামনে ঘটে গোটা ঘটনা । তিনি বলেন, "আমি দোকানে বসেছিলাম । দোকান থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম অনেকক্ষণ ধরে ব্রিজের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল এক মহিলা, যুবক ও ওই ভদ্রলোক । আমি প্রথমে অতটা পাত্তা দিইনি । কিন্তু, অনেকটা সময় কেটে গেলেও ওরা যাচ্ছিল না । এদিক সেদিক করছিল । তা দেখে আমার সন্দেহ হয় । মহিলার কোলে একটি কাপড় ছিল । দেখে মনে হচ্ছিল কোনও বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আছে । দোকান থেকে ওদের দিকে এগিয়ে এলাম । আমার সন্দেহই ঠিক ছিল । ওই কাপড়ের ভিতর থেকে এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম । এত রাতে এখানে কী করছে? মনে প্রশ্ন জাগে আমার । এবারে ওরা ব্রিজের মুখ থেকে একটু এগিয়ে যেতে শুরু করে । আমিও পিছু নিই । তখনও কেঁদে চলেছে ওই শিশু । কিছুটা যাওয়ার পর দেখি ওই লোকটি টর্চ বের করে নদীর জল দেখছে । তার কয়েক মুহূর্ত পর দেখলাম, চারদিকে তাকিয়ে ওই মহিলা কোলের বাচ্চাকে ব্রিজ থেকে ছুড়ে ফেলে দিল । তখনও কান্নার আওয়ার পাচ্ছিলাম ।"

bankura
অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ

বাচ্চাকে নদীতে ছুড়ে ফেলার দৃশ্য দেখে ততক্ষণে চিৎকার করতে শুরু করেছেন সুমন্ত । চিৎকার শুনে আরও অনেকেই সেখানে জড়ো হয়েছেন । সুমন্তর মুখে ঘটনা শুনে হতবাক পথচলতি লোকজন । তাঁরা অভিযুক্তদের ঘেরাও করেন । খবর পেয়ে কিছুক্ষণে মধ্যে এলাকায় আসে বাঁকুড়া থানার পুলিশ । তবে পুলিশকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । সদ্যোজাতকে খোঁজার কাজ শুরু করার দাবি ওঠে । পুলিশকর্মীরা জানান, শিশুকে উদ্ধারের কাজ শিগগিরই শুরু হবে ।

যে মহিলা শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল তাকে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করতে থাকেন । অভিযুক্ত মহিলা প্রথমে বলে, ওই শিশুকে মৃত অবস্থায় তারা এখানে এনেছিল । সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না । চিকিৎসকরা জবাব দিয়েছিলেন । সেকারণে তারা শিশুকে ফেলে দেয় । যদিও চাপের মুখে পরে স্বীকার করে, ওই শিশু জীবিত ছিল ।

bankura
পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল একজন ব্যক্তি । সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলে, "গতকাল PG হাসপাতালে জন্ম হয় ওই শিশুর । চিকিৎসকরা জানান, বাচ্চাটির অবস্থা খারাপ । তাকে বাঁচানো কঠিন । কোমরের হাড় নেই । বাচ্চার মায়ের অবস্থাও খারাপ । বাচ্চাকে ওই অবস্থায় দেখলে সে কষ্ট পাবে । আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে । সেকারণে সদ্যোজাতকে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।"

অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । বাঁকুড়া থানা সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । বাচ্চার খোঁজ চলছে । অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । তারা কেন জীবিত শিশুকে নদী থেকে ছুড়ে ফেলল তা খতিয়ে দেখা হবে ।

Intro:সদ্যজাতকে নদীর জলে ছুড়ে ফেলে ধৃত 3 বাঁকুড়ার 60 নম্বর জাতীয় সড়কে গন্ধেশ্বরী নদীর ব্রিজের।


Body:রাত্রি নটা নাগাদ আজ বাঁকুড়া শহরের বাইপাস গন্ধেশ্বরী ব্রিজে এক মহিলা ও দুই ব্যক্তিকে একটি শিশু কোলে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা স্থানীয় এক বাসিন্দা। কিছুক্ষণ পরেই ওই প্রৌঢ়া নদীর ব্রিজের উপর থেকে নদীর দিকে ছুঁড়ে ফেলে এক জীবিত শিশুকে, এমনই অভিযোগ। ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী চিৎকার করলে পথচলতি এবং স্থানীয় মানুষেরা জড়ো হয় এবং ওই প্রৌঢ়া মহিলা ও দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং গাড়িতে তোলে। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মহিলাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা।
অভিযুক্ত দাবি শিশুটি গুরুতর অসুস্থ ছিল এবং ডাক্তাররা তার চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানান তারা এমনটি করেছেন। অবশ্য প্রথমে শিশুটি মৃত অবস্থায় ছিল বলে তিনি দাবি করেন। যদিও স্থানীয় মানুষের বক্তব্য তারা শিশুটির কান্না শুনতে পেয়েছিলেন এবং অভিযুক্তকে চাপ দেওয়ায় তিনি ওপরে স্বীকার করেন শিশু টি জীবিত অবস্থায় ছিল।
ধৃত 3 জনকে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ আটক করে এবং থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে শিশুটির খোঁজে নদীতে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রাথমিকভাবে কি তোদের কাছ থেকে জানা গেছে শিশুটির মা সাথী দত্ত তিনি অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবারি এলাকায় তাদের বাড়ি। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনো কোনো বক্তব্য মেলেনি।


Conclusion:বাইট: সুমন্ত লাহা ,প্রত্যক্ষদর্শী
বাইট: সুকুমার গোস্বামী, অন্যতম ধৃত অভিযুক্ত
Last Updated : Jul 27, 2019, 2:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.