বাঁকুড়া, 20 জুলাই : শিশু পাচারের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৷ মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় দুই শিশুকে জোর করে একটি মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া । বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের । এরপরই স্থানীয় মানুষজন ওই গাড়িটিকে ঘিরে রাখলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া । মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় চার শিশু সহ দুই মহিলাকে।
অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের মেনগেট ও কাদারোড এলাকা থেকে শিশুদের কিনে এনে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল অধ্যক্ষর। এজন্য শিশুদের মায়েদের দেওয়া হয়েছিল লক্ষাধিক টাকাও । সপ্তাহখানেক আগে এভাবেই ন'মাসের একটি শিশুকে কাদারোড এলাকা থেকে এনে অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া জহর নবোদয় স্কুলেরই সুষমা শর্মা নামের এক নিঃসন্তান শিক্ষিকাকে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। অন্য দুটি শিশু সন্তানকেও একইভাবে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি স্কুল চত্বরে থাকা অধ্যক্ষর কোয়ার্টারে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ । পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজন শিশুকে উদ্ধার করেছে ।
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব ফিরে পেতেই কলকাতায় জেএমবি হানার ছক, দাবি বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই চক্রের জাল বিছিয়েছিল কমল কুমার রাজোরিয়া । শিশুগুলিকে যৌন হেনস্থা করা হত কি না তা জানতে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষিকা সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে । আজ তাঁদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হচ্ছে । এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।