বাঁকুড়া, 19 জানুয়ারি: তিন মাসের বেশি সময় ধরে ধর্ষণ। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভস্থ ভ্রুণকে হত্যার অভিযোগ। ঘটনা বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । নিজের দোষ ঢাকতে নির্যাতিতার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় ওই যুবক বলে অভিযোগ । সেই কারণেই, লিখিত অভিযোগ দায়ের দেরিতে করা হয় বলে জানাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার । বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি জানান," আমরা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করি এবং পুলিশের রিমান্ডে নি"।
ঘটনা প্রসঙ্গেই নির্যাতিতার দাদা জানান, তিন চার মাস আগে তাঁর বোন মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই গ্রামেরই এক যুবক তাঁর বোনকে ধর্ষণ করে ৷ ঘটনা যাতে সামনে না আসে, তাই হুমকিও দিতে থাকে অভিযুক্ত যুবক। নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার 10 দিন আগে পরিবার ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন মাস আগে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে ৷ লাগাতার তাকে ধর্ষণ করে ৷ সম্প্রতি এই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ৷ এরপরই বিষয়টি পরিবারে জানা জানি হয়ে যায় ৷ পরিবারের লোকজন প্রথমে অভিযুক্তের কাছে বিষয়টি জানতে চায় ৷ অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ডিএনএ টেস্টের করার নাম করে, ওষুধ খাইয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণ হত্যা করে ৷ 10 জানুয়ারি ভ্রুণ হত্যার বিষয়টি সামনে আসে।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা চলছে ৷ এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পুরো বিষয়টি আরও বিশদে খতিয়ে দেখছে সোনামুখী থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: