বাঁকুড়া, 8 এপ্রিল : শীতলকুচিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলার আঁচ পড়ল বাঁকুড়ায় ৷ আজ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বাঁকুড়া থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেন ৷ অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বিক্ষোভ ৷ তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করলে পরবর্তীকালে আরও বড় আন্দোলনে যাবেন ৷
এবিষয়ে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিলাদ্রী দানা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে এযাবৎ কাল বিজেপি করার অপরাধে অনেকের উপর হামলা চালানো হচ্ছে ৷ নির্বাচনের আগে রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও কর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হুইল চেয়ারে বসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে ৷ শীতলকুচিতে নির্বাচনী কাজে যাওয়ার পথে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে অতর্কিতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা ৷"
পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন, গণতন্ত্রের অধিকার ৷ ভারতবর্ষের সংবিধানে প্রথম স্তম্ভকে খর্ব করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ৷ তাদের হামলা থেকে ছাড় পাচ্ছেন না জেলার বিজেপি কর্মীরা ৷ পুলিশ প্রশাসনকে বারবার জানানো হচ্ছে ৷ শান্তিপূর্ণভাবে চলুক নির্বাচন ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা মিলছে না ৷"
আরও পড়ুন : অনুমতি দেয়নি পুলিশ, বেহালায় মিঠুনের রোড শো বাতিলে বিক্ষোভ বিজেপির
এব্যাপারে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয় পুলিশ তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে নিলাদ্রীবাবু বলেন, "এর পরেও যদি কোনও বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন তাহলে এর দায় নেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ নিজে পুলিশ মন্ত্রী হয়ে তিনি যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন, তাতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে একটা জঙ্গলের রাজত্ব তৈরি হতে চলেছে ৷ আর এর জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷"
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বরেণচন্দ্র রায়ের সমর্থনে গতকাল বিকেলে শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে সভা করতে যান দিলীপ ঘোষ । সভা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । সভাস্থলের বাইরে শুরু হয় বোমাবাজি ৷ এরপর দিলীপ ঘোষ মাঠ থেকে বেরিয়ে যখন কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন সেইসময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ । তাঁর গাড়ির ওপর হামলাও চালানো হয় ।