বাঁকুড়া, 26 মে: বাঁকুড়ায় যে 3 কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। এমন উপসর্গহীন আক্রান্তদের নিয়ে চিন্তায় জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর। রোগের কথা না জানায় এরা সহজেই অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে কথা মাথায় রেখে এবার, উপসর্গহীন আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে বিশেষ কর্মসূচি নিল বাঁকুড়া স্বাস্থ্য দপ্তর।
সাধারণত কোরোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, সর্দি বা কাশি অথবা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তুূ, বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত যে কজন কোরোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে তাঁদের কোরো মধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ ছিল না। যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই রোগীরা অজান্তে অসংখ্য মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, "ICMR-এর গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যাঁদের ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে তাঁদের মধ্যে যদি কোরোনার উপসর্গ থাকে কেবলমাত্র তাহলেই তাঁদের সোয়াব পরীক্ষা করা যেতে পারে।"
যদিও বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে পাত্রসায়ের একজন ও ছাতনার 2 জন আক্রান্তের মধ্যে কোনও শারীরিক লক্ষণ ছিল না। শুধুমাত্র কলকাতার রেডজোন থেকে এসেছেন বলেই তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। 3 জনের পরীক্ষার ফল হয় কোরোনা পজিটিভ। এই পরিস্থিতিতে একটি বিশেষ কর্মসূচি নিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে উপসর্গ থাক বা না থাক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের সোয়াব সংগ্রহের কাজ শুরু হল এবার।
মঙ্গলবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "বাঁকুড়ায় বর্তমানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের খবর নেই। তবে এই সমস্ত উপসর্গহীন আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে এরকম 200 জনের সোয়াব পরীক্ষা করা হচ্ছে।"
এদিকে আজ স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে কর্মরত সাংবাদিকদের বিশেষ সচেতনতা শিবির হল জেলা শহরে। সাংবাদিকদের হাতে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ তুলে দেওয়া হয় মঙ্গলবার।