বাঁকুড়া, 17 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী আজ বাঁকুড়া সফরে ৷ আর এর মাঝে বিতর্ক উসকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ পরীক্ষা বাতিল হল ৷ শুক্রবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন কলেজে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক স্তরের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয় ৷ আর এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে । বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সফর কর্মসূচির জেরেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে ৷ যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শায়নি ৷ অন্যদিকে হঠাৎ এই পরীক্ষা বাতিলের নোটিশে স্বভাবত বিপাকে পরীক্ষার্থীরা ৷ এই নির্ধারিত পরীক্ষাগুলি আবার কবে হবে ? তা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় দু'টি সরকারি সভা থেকে সাধারণ মানুষের হাতে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধে প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি জনসভা ছিল বাঁকুড়ায় ৷ বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বলরামপুর গ্রামে এই জনসভায় আসেন তিনি ।
আর এদিনই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সব কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম সেমেস্টারের সব পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায় । কিন্তু তাঁর এই সভার আগে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিতের একটি নোটিশ জারি করে ৷ সেই নোটিশে স্পষ্ট জানানো হয়, 17 ফেব্রুয়ারি আন্ডার গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েটের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা ছিল ৷ সব কলেজে সেই পরীক্ষা অনিবার্য ৷ কিছু অজ্ঞাত কারণবশত পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে ৷ এই পরীক্ষা কবে হবে, তা পরে জানানো হবে ৷ কী কারণে এই পরীক্ষা বাতিল করা হল, তা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও 3% ডিএ দিয়েছি, ম্যাজিশিয়ানের মতো টাকা দিতে পারি না; বাঁকুড়ায় তোপ মমতার
সাংবাদিকরা বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে ৷ বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর জানা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আসার একদিন আগে হঠাৎ নোটিশ দিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সব কলেজের পরীক্ষা বন্ধ করা হল । ট্রাফিক পরিষেবাও স্তব্ধ হয়ে গেল ৷ পরীক্ষা আগে থেকে ঠিক করা ছিল ৷ তাতে পড়ুয়ারা বসতে পারল না ৷ বিজেপি নেতার দাবি, পড়ুয়ারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ৷ জেলা তৃণমূল নেতারা এ বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করতে রাজি হননি ৷ তাঁদের বক্তব্য, যা বলার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলবেন ৷