বাঁকুড়া, 27 মে : বাঁকুড়ার ত্রাণশিবিরগুলি ঘুরে দেখলেন জেলশাসক কে রাধিকা আইয়ার । ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷
মঙ্গলবার থেকেই বাঁকুড়ার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন জেলার প্রায় 1 লক্ষ মানুষ । যশের আগাম সতর্কতা হিসেবে গ্রামের ও শহরের কাঁচাবাড়ি বা দুর্বল বাড়ির বাসিন্দাদের এবং নদীর ধারের বসবাসকারী পরিবারগুলিকে স্থানীয় স্কুলে নিয়ে আসা হয় প্রশাসনের তরফে । সেখানে খাওয়া-দাওয়া-সহ বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে । তিন দিন ধরে জেলার বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে থাকা মানুষজনের খোঁজখবর নিতে গেলেন জেলশাসক কে রাধিকা আইয়ার ।
গতকাল জেলায় যশের তেমনভাবে আঁচ না পড়লেও বৃষ্টি এবং হালকা ঝড়ের দাপটে বেশকিছু কাঁচা বাড়ি এবং চাষের ক্ষতি হয়েছে । তবে তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ বাঁকুড়ার ঝড় এবং বৃষ্টির দাপট একটু বেশি ছিল । একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে ।
জেলায় এখন পর্যন্ত কোনও নদীতে জলস্ফীতি হয়নি বলেই দাবি জেলা প্রশাসনের । বৃ্হস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬০ মিলিমিটার । কোথাও নদী ভাঙনের খবর নেই । এখন পর্যন্ত জেলায় 1000 ত্রাণশিবিরে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন প্রায় 1 লক্ষ মানুষ । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ত্রাণশিবিরে থাকা মানুষজন নিজের নিজের বাড়ি ফিরে যাবেন ।
আরও পড়ুন: আগামীকাল কলাইকুন্ডায় মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে যশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলার একাধিক ক্যাম্প ঘুরে আশ্রয়ে থাকা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার । সব পরিষেবা মিলছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন । বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গোড়াবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণশিবিরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে, পরে বিষ্ণুপুর-সহ একাধিক ক্যাম্প ঘুরে দেখেন তিনি । জেলাশাসক জানান, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলিকে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা করা হবে । কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷