ETV Bharat / state

বালুচরী শিল্পের হাল ফেরাতে উদ্যোগী প্রশাসন, আয়োজন বালুচরী হাটের - Resham

নেই প্রচার । তার ওপর মহাজনদের মুনাফা আদায়ের কৌশল । ধুঁকছে বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি শিল্পীরা । তাঁদের অবস্থা ফেরাতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন ।

খদ্দেরকে বালুচরী দেখাচ্ছে শিল্পী
author img

By

Published : Jul 7, 2019, 3:06 PM IST

Updated : Jul 7, 2019, 3:27 PM IST

বিষ্ণুপুর, 7 জুলাই : রেশমের ওপর হালকা মসৃণ ও সুদৃশ্য কারুকাজ । একসময় বিষ্ণুপুরের রানিদের পরিধান ছিল বালুচরী শাড়ি । প্রচারের অভাব আর মহাজনদের কৌশলে পড়ে একপ্রকার ধুঁকছেন বালুচরী শাড়ির শিল্পীরা । তাঁদের সাহায্য করতে
যৌথ উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ও তন্তুজ । আয়োজন করা হল দু'দিন ব্যাপী বালুচরী হাট । বিক্রি হল প্রায় 55 লাখ টাকার বালুচরী শাড়ি ।

গতকাল বিষ্ণুপুরের পুলিশ চৌকি সংলগ্ন গ্রামীণ এই হাটের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল, তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় সহ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা । আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, শিল্পীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী এই বালুচরী শাড়ি সরাসরি কিনতে পারবেন মানুষ । পাশাপাশি এই হাটেই মিলবে বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী সিল্ক ।

আয়োজকরা জানান, এই হাটের শিল্পীদের কাছ থেকেই রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা তন্তুজ তাঁদের তৈরি বালুচরী সরাসরি কিনবে । পরে সেই শাড়িগুলি নির্দিষ্ট বিক্রয়কেন্দ্র থেকে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে ।

দেখুন ভিডিয়ো...

তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, "এই হাটের মাধ্যমে তন্তুজের সঙ্গে শিল্পীদের সরাসরি যোগসূত্র তৈরি হচ্ছে । সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে তাঁদের তৈরি শাড়ি কিনে নেওয়া হচ্ছে । পাশপাশি নতুন ডিজ়াইন, রং সহ অন্যান্য বিষয়ে শিল্পীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে । রাজ্যে জামদানি, টাঙ্গাইল সহ অন্যান্য শাড়ির সঙ্গে বালুচরী শাড়ির ক্ষেত্রেও ডিজ়াইন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।" এই প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে 'তাঁতের হাটে' পুরস্কৃত করা হয় বলে জানান তিনি । একইসঙ্গে জানান, গতবছরে এখান থেকে তন্তুজের বালুচরী শাড়ি সংগ্রহের সংখ্যা ছিল 400 । এবছর সেই সংখ্যা পৌঁছেছে 700-তে । এখনও পর্যন্ত 55 লাখ টাকার শাড়ি বিক্রি হয়েছে ।

মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল বলেন, "এই হাটে 70 জনের বেশি শিল্পী অংশ নিয়েছেন । আশা করছি এই হাটে অংশ নেওয়া শিল্পীদের বেশিসংখ্যক শাড়ি তন্তুজ সংগ্রহ করবে ।" তিনি জানান, বর্ষার সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে আসা পর্যটকরা বালুচরী কেনাকেটা করেন । তার বাইরে সেভাবে বিক্রি হয় না । আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মহাজনরা শিল্পীদের কাছ থেকে কম দামে শাড়ি সংগ্রহ করে আগামী পুজোর মরশুমে চড়া দামে বিক্রি করেন । সেকারণেই গরিব শিল্পীদের মহাজনী খপ্পর থেকে বাঁচাতে তন্তুজের মতো সরকারি সংস্থাকে নির্দিষ্ট মূল্যে বালুচরী শাড়ি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এর ফলে আর্থিক দিক থেকে বালুচরী শিল্পীরা লাভবান হবেন ।

জনমুখে প্রচারিত, মুর্শিদাবাদের নবাব বালুচর গ্রামের শিল্পীদের দিয়ে সিল্কের শাড়ি তৈরি করাতেন । এই খবর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের কানে পৌঁছালে রানিদের জন্য ওই শাড়ি তৈরি করাতে বালুচর গ্রাম থেকে শিল্পীদের নিয়ে আসা হয় বিষ্ণুপুরে । তখন থেকেই বিষ্ণুপুরে তৈরি হয় এই শাড়ি । বালুচরের শিল্পীরা তৈরি করতেন বলে নাম দেওয়া হয় বালুচরী ।

বিষ্ণুপুর, 7 জুলাই : রেশমের ওপর হালকা মসৃণ ও সুদৃশ্য কারুকাজ । একসময় বিষ্ণুপুরের রানিদের পরিধান ছিল বালুচরী শাড়ি । প্রচারের অভাব আর মহাজনদের কৌশলে পড়ে একপ্রকার ধুঁকছেন বালুচরী শাড়ির শিল্পীরা । তাঁদের সাহায্য করতে
যৌথ উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ও তন্তুজ । আয়োজন করা হল দু'দিন ব্যাপী বালুচরী হাট । বিক্রি হল প্রায় 55 লাখ টাকার বালুচরী শাড়ি ।

গতকাল বিষ্ণুপুরের পুলিশ চৌকি সংলগ্ন গ্রামীণ এই হাটের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল, তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় সহ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা । আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, শিল্পীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী এই বালুচরী শাড়ি সরাসরি কিনতে পারবেন মানুষ । পাশাপাশি এই হাটেই মিলবে বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী সিল্ক ।

আয়োজকরা জানান, এই হাটের শিল্পীদের কাছ থেকেই রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা তন্তুজ তাঁদের তৈরি বালুচরী সরাসরি কিনবে । পরে সেই শাড়িগুলি নির্দিষ্ট বিক্রয়কেন্দ্র থেকে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে ।

দেখুন ভিডিয়ো...

তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, "এই হাটের মাধ্যমে তন্তুজের সঙ্গে শিল্পীদের সরাসরি যোগসূত্র তৈরি হচ্ছে । সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে তাঁদের তৈরি শাড়ি কিনে নেওয়া হচ্ছে । পাশপাশি নতুন ডিজ়াইন, রং সহ অন্যান্য বিষয়ে শিল্পীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে । রাজ্যে জামদানি, টাঙ্গাইল সহ অন্যান্য শাড়ির সঙ্গে বালুচরী শাড়ির ক্ষেত্রেও ডিজ়াইন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।" এই প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে 'তাঁতের হাটে' পুরস্কৃত করা হয় বলে জানান তিনি । একইসঙ্গে জানান, গতবছরে এখান থেকে তন্তুজের বালুচরী শাড়ি সংগ্রহের সংখ্যা ছিল 400 । এবছর সেই সংখ্যা পৌঁছেছে 700-তে । এখনও পর্যন্ত 55 লাখ টাকার শাড়ি বিক্রি হয়েছে ।

মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল বলেন, "এই হাটে 70 জনের বেশি শিল্পী অংশ নিয়েছেন । আশা করছি এই হাটে অংশ নেওয়া শিল্পীদের বেশিসংখ্যক শাড়ি তন্তুজ সংগ্রহ করবে ।" তিনি জানান, বর্ষার সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে আসা পর্যটকরা বালুচরী কেনাকেটা করেন । তার বাইরে সেভাবে বিক্রি হয় না । আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মহাজনরা শিল্পীদের কাছ থেকে কম দামে শাড়ি সংগ্রহ করে আগামী পুজোর মরশুমে চড়া দামে বিক্রি করেন । সেকারণেই গরিব শিল্পীদের মহাজনী খপ্পর থেকে বাঁচাতে তন্তুজের মতো সরকারি সংস্থাকে নির্দিষ্ট মূল্যে বালুচরী শাড়ি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এর ফলে আর্থিক দিক থেকে বালুচরী শিল্পীরা লাভবান হবেন ।

জনমুখে প্রচারিত, মুর্শিদাবাদের নবাব বালুচর গ্রামের শিল্পীদের দিয়ে সিল্কের শাড়ি তৈরি করাতেন । এই খবর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের কানে পৌঁছালে রানিদের জন্য ওই শাড়ি তৈরি করাতে বালুচর গ্রাম থেকে শিল্পীদের নিয়ে আসা হয় বিষ্ণুপুরে । তখন থেকেই বিষ্ণুপুরে তৈরি হয় এই শাড়ি । বালুচরের শিল্পীরা তৈরি করতেন বলে নাম দেওয়া হয় বালুচরী ।

Intro:ঐতিবাহী বালুচরী শাড়ি শিল্পের পুনরুজ্জীবনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দু'দিনের 'বালুচরী হাট' শুরু হলো। Body: শনিবার জেলা প্রশাসন ও 'তন্তুজে'র উদ্যোগে শহরের পুলিশ চৌকি সংলগ্ন গ্রামীণ হাটে সূচণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল, তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় সহ মহকুমাপ্রশাসনের আধিকারিকরা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, যেকেউ চাইলে এখান থেকে সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহি বালুচরি শাড়ি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী শিল্ক এখান থেকেই কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এই বালুচরী হাট থেকেই রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা তন্তুজ শিল্পীদের কাছ থেকেই তাদের উৎপাদিত বালুচরী কিনে নেবে। পরে তারা তা তাদের নির্দিষ্ট বিক্রয় কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করবে। তাছাড়া সাধারণ ক্রেতা এখানে এসে নিজের হাতে শাড়ি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী রবিবার পর্যন্ত সকাল ১১ টা রাত ৮ টা পর্যন্ত বালুচরী হাট খোলা থাকবে বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে।

'বালুচরী হাটে'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, এই হাটের মাধ্যমে তন্তুজ ও শিল্পী পরস্পরের মধ্যে যোগসূত্র তৈরী হচ্ছে। আমাদের সংস্থা সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে তাদের উৎপাদিত শাড়ি কিনে নিচ্ছে। এছাড়াও নতুন ডিজাইন, রং সহ অন্যান্য বিষয়ে শিল্পীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাজ্যে উৎপাদিত জামদানী, টাঙ্গাইল সহ অন্যান্য শাড়ির সঙ্গে বালুচরী শাড়ির ক্ষেত্রেও 'ডিজাইন প্রতিযোগীতা'র ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে 'তাঁতের হাটে' পুরস্কৃত করা হয় বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি আরো জানান, গত বছর এখান থেকে তন্তুজ চারশো বালুচরী শাড়ি সংগ্রহ করেছিল, এবছর সেই সংখ্যাটা সাতশোতে পৌঁছাবে।Conclusion:মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল বলেন, এদিন বালুচরী হাটে সত্তর জনের বেশী শিল্পী অংশ নিয়েছেন। আশা করা যায়, এই হাটে অংশ নেওয়া শিল্পীদের কাছে সমস্ত শাড়িও তন্তুজ সংগ্রহ করবে। বালুচরী হাটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, সাধারণভাবে ফি বছর এই বর্ষার সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে আসা পর্যটকরা সামান্য পরিমানে কেনাকেটা করেন। তার বাইরে সেভাবে বিক্রিবাটা হয়না। আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে মহাজনরা শিল্পীদের কাছ থেকে কম দামে শাড়ি সংগ্রহ করে আগামী পুজোর মরশুমে চড়া দামে বিক্রি করেন। সেকারণেই গরীব শিল্পীদের মহাজনী খপ্পর থেকে বাঁচাতে তন্তুজ, তন্তুজার মতো সরকারী সংস্থাকে এনে একেবারে নির্দিষ্ট মূল্যে বালুচরী শাড়ি কেনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আর্থিক দিক থেকে বালুচরী শিল্পীরা লাভবান হবেন বলেই তিনি মনে করেন।

বাইট:
1) রবীন্দ্রনাথ রায় (এম.ডি, তন্তুজ)
2) মানস মণ্ডল (মহকুমাশাসক, বিষ্ণুপুর)
Last Updated : Jul 7, 2019, 3:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.