বাঁকুড়া, 25 ফেব্রুয়ারি: চলতি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়কালে রাজ্যজুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান (Number of Cases of Adenovirus is Increasing)। দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। মূলত শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অ্যাডিনো ভাইরাস একটি ডিএনএ ভাইরাস। সর্দি-কাশি-হাঁচির মাধ্যমে একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের দেহে প্রবেশ করে। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রিমতদের মধ্যে সর্দি, কাশি, হাঁচি, জ্বর, গলাব্যাথার উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রবল শ্বাসকষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করা জরুরি। অন্যদিকে, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে 8 শিশু-সহ এই মুহূর্তে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোট 70 জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কোনও শিশুকেই ভ্যান্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক কলকাতা পৌরনিগমে
এবিষয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ-3 ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, "এই মুহূর্তে মাস্ক পরা জরুরি ৷ অ্যাডিনোভাইরাস যেহেতু 'ছোঁয়াচে' তাই জ্বর, সর্দির উপসর্গ থাকলে শিশুদের ওই ক'টা দিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।" যেহেতু শিশুদেরই এই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি তাই তাদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে তিনি জানান। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক পঞ্চানন কুণ্ডু আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়কালে শিশু ও বড়দের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি বলে জানান। তিনি বলেন, "অ্যাডিনো ভাইরাসে মূলত শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বড়দের মাধ্যমে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই বড়রা আক্রান্ত হলে শিশুদের থেকে যেমন দূরত্বে থাকতে হবে, তেমনই শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তাকেও সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে।" তবে একাধিক রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হলেও এই মুহূর্তে কোনও রোগীও পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।