বিধাননগর, 22 ডিসেম্বর: 2010 সালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকার তৃণমূল কর্মীর বাবা মদন খাঁ খুনের ঘটনায় বুধবার দোষী প্রমাণিত হলেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র-সহ তিনজন ৷ এরপর বৃহস্পতিবার বিধাননগর এমপিএমএলএ আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন(Life Imprisonment)সাজা ঘোষণা করার পাশাপাশি 50 হাজার টাকা জরিমানা করে (Former CPM MLA Sentenced to Life Imprisonment in TMC Leader Murder Case)। অনাদায়ে আরও ছ'মাস জেল ।
এই বিষয়ে এমপিএমএলএ আদালতের পিপি ইনচার্জ সোমা মণ্ডলের বক্তব্য, 2010 সালের 29 জুন বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র তাঁর দলবল অর্থাৎ ধৃত জিতেন পাত্র ও আজবাহার খাঁ-সহ আরও দলবল নিয়ে নিয়ে তৃণমূল কর্মী ইসমাইল খাঁর বাড়িতে যায় । ইসমাইলের বাবা মদন খাঁও তৃণমূল করতেন । বাড়িতে গিয়ে সেই সময় মদন খাঁ-কে তৃণমূল থেকে সিপিএমে আসতে জোর জবরদস্তি করা হলে বচসা তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে । বিষয়টা মদন খাঁ মানতে না-চাওয়ায় বাড়িতে সবার সামনেই তাঁকে গুলি করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেন মনোরঞ্জন ও তাঁর সাগরেদরা ।
পরদিন অর্থাৎ 30 জুন মৃতের ছেলে ইসমাইল খাঁ তালডাংরা থানায় অভিযোগ জানালে এই ঘটনায় মোট 21 জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয় । 12 বছর ধরে মামলা চলার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য প্রমাণ-সহ বৃহস্পতিবার দোষীদের সাজা ঘোষণা হয় এমপিএমএলএ আদালতে । মোট 21 জনের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক । তিনজনের মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র ও আজবাহার খান(Bankura CPM MLA life Imprisonment)। মনোরঞ্জন ও জিতেন পাত্রর নির্দেশে গুলি চালিয়েছিলেন আজবাহার খান ৷ বাকি 19 জনের ক্ষেত্রে সেভাবে জোরালো তথ্য প্রমাণ না-থাকায় তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি না. তা নিশ্চিত না হওয়ায় আদালত তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় ৷
আরও পড়ুন : 11 বছর পর খুনের সাজা ! সিপিএম সমর্থকের যাবজ্জীবন