বাঁকুড়া, 1 নভেম্বর: নাবালিকার যোনির রক্তমাখা কাপড় মন্দিরে রেখে আসলে নাকি কেটে যাবে যাবতীয় বাধা ৷ পাওয়া যাবে মনের মতো পাত্রী ৷ তান্ত্রিকের এমন উপদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় 14 দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল বাঁকুড়ার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে (14 days of JC for the accused in minor girl rape incident in Bankura) ৷ মঙ্গলবার ধৃত তান্ত্রিকেরও 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত ৷
অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সবুজ দে'র নামে সপ্তাহখানেক আগে বিষ্ণুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, ঘটনার দিন ওই গৃহশিক্ষক বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দিলেও চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় (Minor Girl Raped) ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে বাবা-মা'কে সব কথা জানায় নাবালিকা। তড়িঘড়ি নাবালিকাকে ভর্তি করা হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷ পরদিন বিষ্ণুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন: 'দোষ' কাটাতে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ! পুলিশের জালে অভিযুক্ত শিক্ষক, পরামর্শদাতা তান্ত্রিক
তারপর বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত থেকে নিজেদের রিমান্ডে নিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে প্ররোচনামূলক উপদেশ দেওয়া তান্ত্রিকের খোঁজ এবং তান্ত্রিককে গ্রেফতারও করা হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ার ওই তান্ত্রিকের নাম গুরুপদ মাঝি ৷ তিনি অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে বলেছিলেন কালীপুজোর দিন কোনও নাবালিকার রক্তাক্ত কাপড় যদি মনসা মন্দিরে রেখে আসা যায়, তবেই বিবাহের বাধা মিটবে। তান্ত্রিকের এহেন প্ররোচনাতেই বর্বরোচিত কাণ্ড ঘটায় সবুজ দে ৷