আলিপুরদুয়ার, 14 জুন: করোনা আবহে লকডাউনের জেরে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়ায় পর্যটন নির্ভর ডুয়ার্সের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। এক অজানা অন্ধকার ভবিষ্যতের সামনে এসে পড়ে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প। লকডাউনের ফলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এক ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়েন। ফের কবে চালু হবে ডুয়ার্সের পর্যটন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে গোটা ডুয়ার্স। কোরোনার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে ডুয়ার্সের বক্সা, জলদাপাড়া, গরুমারা, চিলাপাতা, রসিকবিল, কুমারগ্রামের ভুটান ঘাট পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন ব্যাবসায়ীরা আশঙ্কায় ছিলেন অন্তত এক বছরের আগে ডুয়ার্সের পর্যটন চালু হচ্ছে না। যদিও কোরোনার পরিস্থিতিতে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রকে আশার আলো দেখাল কলকাতা থেকে আসা 11 জন পর্যটক।
রাজ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার পরে দিঘা ও দার্জিলিং-এ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটকদের। আলিপুরদুয়ারে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। পর্যটকরা ছিলেন একদম ভ্রমণের ফুরফুরে মুডে।
কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক দেবরাজ সিং জানান, আলিপুরদুয়ারের আতিথেয়তায় তাঁরা মুগ্ধ। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সামনে পড়তে হয়নি। বরং প্রতি পদে-পদে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা সহ বনবিভাগের সকলের থেকেই সাহায্য পেয়েছেন। মাদারিহাট লজ মালিক ওনার্সের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “দীর্ঘ অন্ধকার পেরিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। লজ স্যানিটাইজ় করে অতিথিদের রাখা হয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের লজে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে এই শিল্প চালু করতে পারব।”