আলিপুরদুয়ার, 8মে: করোনা পরিস্থিতিতে ফের জঙ্গলে প্রবেশ বন্ধ । অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর মুখে দাড়িয়ে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা । ফের করোনার কোপ পড়ল পর্যটনে । রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ অভয়ারাণ্য,ইকো ট্যুরিজম,ব্যাঘ্র সংরক্ষণের বনাঞ্চল এবং চিড়িয়াখানা । তাছাড়াও ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া অভয়ারাণ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রবেশ বন্ধ পর্যটকদের জন্য । ডুয়ার্সে পর্যটকরা আসে মূলত জঙ্গলে কার সাফারি ও এলিফ্যান্ট সাফারি করতে । করোনা পরিস্থিতির জন্য বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ এলিফ্যান্ট সাফারি ।
গত বছর আট মাস পর জঙ্গল খুলে যাবার পর চালু হয়েছিল কার সাফারি । কোভিড বিধি মেনে জঙ্গলে চলছিল কার সাফারি কিন্ত এরই মাঝে রাজ্যে বেজে ওঠে ভোটের দামাম । যার জেরে কার্যত পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলি । ভোট মিটতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের বন্ধ হয়ে গেল জঙ্গলে প্রবেশ আর এর ফলে ক্ষতির মুখে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা । ক্ষতির মুখে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত প্রায় এক লক্ষ মানুষ । ডুয়ার্সের জলদাপাড়া অভয়ারণ্য লাগোয়া মাদারিহাট,চিলাপাতা এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী,রাজাভাতখাওয়া সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের এই নতুন নির্দেশিকায় ।
এই বিষয়ে চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটি কনভেনর অভিক গুপ্ত জানান যে, "এমনিতেই আগামী ১৫ জুন থেকে বর্ষার সময় তিন মাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ হয়ে যেত কিন্তু করোনা আবহে নতুন নির্দেশিকার জন্য আগামী সাড়ে পাঁচ মাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ হয়ে গেল । ফলে জঙ্গলকেন্দ্রিক ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ল ।" অভিক গুপ্ত জানান "সরকারের কাছে আবেদন এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু একটা চিন্তা ভাবনা করুক নয়ত মাঠে মারা পড়বে এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা ।"
এই বিষয়ে চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ী দিলীপ ওঁরাও জানান "এমনিতেই করোনার জেরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল তাও কোভিড বিধি মেনে হাতেগোনা দু একজন পর্যটক আসতো কিন্ত জঙ্গল বন্ধের নির্দেশের ফলে সেই পর্যটকরাও আসবেনা ।" তিনি আরও জানান গত বছর করোনার জেরে পর্যটন ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি , পূনরায় জঙ্গল বন্ধ হওয়ার ফলে পর্যটন ব্যবসায় অশনি সঙ্কেত নেমে এল ।