ETV Bharat / state

ফালাকাটার উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সতর্ক 3 নেতার

দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক, সহ পর্যবেক্ষক পূর্ণেন্দু বসু ও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই রাজনৈতিক কর্মশালায় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন তিন নেতা ।

tmc election preparation
ফালাকাটায় তৃণমূলের নির্বাচন প্রস্তুতি
author img

By

Published : Jan 14, 2020, 5:06 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 14 জানুয়ারি : নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে ঘর গোছাতে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । সোমবার বিকেলে স্থানীয় কমিউনিটি হলে দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ারের দলীয় পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক, সহ পর্যবেক্ষক পূর্ণেন্দু বসু ও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওই রাজনৈতিক কর্মশালায় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন তিন মন্ত্রী । মলয় ঘটক ও পূর্ণেন্দু বসু দলের রীতিনীতি আলোচনা করেন । আর কর্মীদের ভুলভ্রান্তি ও খামতি তুলে ধরেন রাজীব বন্দোপাধ্যায় । কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "পার্টি অফিসের চার দেওয়ালে বসে ভোট অঙ্কের কাটাকুটি চালালেই নির্বাচনে জেতা যায় না ।" মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কাজ করতে নির্দেশ দেন ।

যারা দলকে সামনে রেখে রোজগারের পথে নেমেছে তাদের সতর্ক করেন রাজীব । বলেন, "দয়া করে তাঁরা অন্তরালে চলে যান। পারলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিন।" নেতার ওই আক্রমণাত্মক বক্তব্য শুনে সভায় উপস্থিত সাধারণ দলীয় সমর্থকদের মধ্য থেকে হাততালির ঝড় ওঠে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ঘরে বসে রাজনীতির দিন আর নেই। আগামী সাত দিনের মধ্যেই বিধানসভার সব ক'টি বুথের কমপক্ষে দশজন সাধারণ সক্রিয় কর্মীর নামের তালিকা ছবি ও ফোন নম্বর সহকারে ব্লক সভাপতির কাছে বাধ্যতামূলক ভাবে জমা করতে হবে । মনে রাখবেন ওই তালিকায় যাতে নিজের পছন্দের মানুষের নাম না থাকে । আমরা প্রকৃত দলীয় কর্মীদের কাছে চাই । সুযোগ সন্ধানীদের কোনও জায়গা যেন না থাকে। আমাদের দলীয় নেটওয়ার্ক ওই তালিকাগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে নেবে। ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করা হবে না।"

ফালাকাটায় তৃণমূলের নির্বাচন প্রস্তুতি

পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "লোকসভা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভরাডুবির পর দলীয় জেলা সভাপতি বদল করে মৃদুল গোস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তাই ফালাকাটা আসন জিতে মৃদুলকেই তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে । কোনওরকম অজুহাতের কথা আমরা শুনতে চাই না । না হলে পদ ছেড়ে দিতে হবে।"


2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটায় অনিল অধিকারী 17 হাজার ভোটের ব্যবধানে CPI(M) প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হন । অথচ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটের নিরিখে আলিপুরদুয়ার লোকসভার ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের কাছে 27 হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে । বামেরা চলে যায় তৃতীয় স্থানে । গতবছরের 31 অক্টোবর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী। তাঁর মৃত্যুর পরই ফের ফালাকাটার উপনির্বাচন নিয়ে জেলার রাজনৈতিক আসর সরগরম ।

আলিপুরদুয়ার, 14 জানুয়ারি : নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে ঘর গোছাতে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । সোমবার বিকেলে স্থানীয় কমিউনিটি হলে দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ারের দলীয় পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক, সহ পর্যবেক্ষক পূর্ণেন্দু বসু ও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওই রাজনৈতিক কর্মশালায় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন তিন মন্ত্রী । মলয় ঘটক ও পূর্ণেন্দু বসু দলের রীতিনীতি আলোচনা করেন । আর কর্মীদের ভুলভ্রান্তি ও খামতি তুলে ধরেন রাজীব বন্দোপাধ্যায় । কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "পার্টি অফিসের চার দেওয়ালে বসে ভোট অঙ্কের কাটাকুটি চালালেই নির্বাচনে জেতা যায় না ।" মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কাজ করতে নির্দেশ দেন ।

যারা দলকে সামনে রেখে রোজগারের পথে নেমেছে তাদের সতর্ক করেন রাজীব । বলেন, "দয়া করে তাঁরা অন্তরালে চলে যান। পারলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিন।" নেতার ওই আক্রমণাত্মক বক্তব্য শুনে সভায় উপস্থিত সাধারণ দলীয় সমর্থকদের মধ্য থেকে হাততালির ঝড় ওঠে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ঘরে বসে রাজনীতির দিন আর নেই। আগামী সাত দিনের মধ্যেই বিধানসভার সব ক'টি বুথের কমপক্ষে দশজন সাধারণ সক্রিয় কর্মীর নামের তালিকা ছবি ও ফোন নম্বর সহকারে ব্লক সভাপতির কাছে বাধ্যতামূলক ভাবে জমা করতে হবে । মনে রাখবেন ওই তালিকায় যাতে নিজের পছন্দের মানুষের নাম না থাকে । আমরা প্রকৃত দলীয় কর্মীদের কাছে চাই । সুযোগ সন্ধানীদের কোনও জায়গা যেন না থাকে। আমাদের দলীয় নেটওয়ার্ক ওই তালিকাগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে নেবে। ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করা হবে না।"

ফালাকাটায় তৃণমূলের নির্বাচন প্রস্তুতি

পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "লোকসভা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভরাডুবির পর দলীয় জেলা সভাপতি বদল করে মৃদুল গোস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তাই ফালাকাটা আসন জিতে মৃদুলকেই তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে । কোনওরকম অজুহাতের কথা আমরা শুনতে চাই না । না হলে পদ ছেড়ে দিতে হবে।"


2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটায় অনিল অধিকারী 17 হাজার ভোটের ব্যবধানে CPI(M) প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হন । অথচ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটের নিরিখে আলিপুরদুয়ার লোকসভার ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের কাছে 27 হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে । বামেরা চলে যায় তৃতীয় স্থানে । গতবছরের 31 অক্টোবর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী। তাঁর মৃত্যুর পরই ফের ফালাকাটার উপনির্বাচন নিয়ে জেলার রাজনৈতিক আসর সরগরম ।

Intro:আলিপুরদুয়ারঃ-এক সাথে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফালাকাটা বিধানসভার উপ নির্বাচনের মহড়া দিলেন।


Body:যদিও নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও চুড়ান্ত নয়। তবে নির্বাচনের প্রথম ধাপেই বিরোধিদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে থাকতে শাসকদল ইতিমধ্যেই পাখির চোখ করেছে ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচন। রীতিমতো ঘর গোছাতে কোমড় বাঁধার কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।সোমবার বিকেলে স্থানীয় কমিউনিটি হলে দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ারের দলীয় পর্যবেক্ষক ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, সহ পর্যবেক্ষক কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়।ভীড়ে ঠাসা ওই রাজনৈতিক কর্মশালায় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন তিন মন্ত্রী।মলয় ঘটক ও পূর্ণেন্দু বসু তাত্বিক আলোচনা করলেও দলের ভুলভ্রান্তি ও খামতি তুলে ধরতে চাঁছাছোলা ভাষায় বিশ্লেষণের পথে হাঁটেন রাজীব বন্দোপাধ্যায় তিনি পরিষ্কার ভাবে জানান "পার্টি অফিসের চারদেওয়ালে বসে ভোট অঙ্কের কাটাকুটি চালালেই নির্বাচনে জেতা যায় না।রাজীব রিতীমতো মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছেনোর হুইপ জারি করলেন দলীয় নেতাদের। শুধু কি হুইপ জারি? দলের জেলা নেতাদের দিয়ে য়িনি শপথ বাক্য পাঠ করালেন।
রাজীবের প্রচ্ছন্ন হুমকি দলকে সামনে রেখে যারা রেজগারের পথে নেমেছেন, দয়া করে তাঁরা অন্তরালে চলে যান।পারলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিন।" মন্ত্রীর ওই আক্রমানাত্বক বক্তব্য শুনে সভায় উপস্থিত সাধারণ দলীয় সমর্থকদের মধ্য থেকে হাততালির রোল উঠলেও মঞ্চে উপস্থিত আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতাদের অনেক নেতারই কপালে ভাঁজ পড়তে দেখো যায়।সেখানেই থেমে না গিয়ে রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন "আমাদের দলে সংগঠনের থেকে এখন সং বেশি। ঘরে বসে রাজনীতির দিন আর নেই।আগামী সাত দিনের মধ্যেই বিধানসভার সব ক'টি বুথের কমপক্ষে দশজন সাধারণ সক্রিয় কর্মীর নামের তালিকা ছবি ও ফোন নম্বর সহকারে ব্লক সভাপতির কাছে বাধ্যতামূলক ভাবে জমা করতে হবে।মনে রাখাবন ওই তালিকায় যাতে নিজের পছন্দের মানুষের নাম না থাকে।আমরা প্রকৃত দলীয় কর্মীদের কাছে চাই।সুযোগ সন্ধানীদের কোন জায়গা যেন না থাকে।আমাদের দলীয় নেটওয়ার্ক ওই তালিকা গুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে নেবে।ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করা হবে না।" মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানান "লোকসভা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভরাডুবির পর দলীয় জেলা সভাপতি বদল করে মৃদুল গোস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তাই ফালাকাটা আসন জিতে মৃদুলকেই তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।কোনো রকম অযুহাতের কথা আমরা শুনতে চাই না।না হলে পদ ছেড়ে দিতে হবে।" মলয় ঘটক বলেন "আত্মতুষ্টির আর কোনো জায়গা নেই।নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিলে মানুষ ঠিক ক্ষমা করবেন।কিছু তো ভুল নিশ্চয়ই করেছেন আপনারা।না হলে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে দল কীভাবে বিজেপির থেকে সাতাশ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে? আত্ম বিশ্লেষণ করে নিজেদের ঘাটতি গুলো লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।মুখের কথায় কাজ হবে না।আমরা কোনো ওজর শুনবো না।" উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটার প্রয়াত বিধায়ক অনিল অধিকারি সতেরো হাজার ভোটের ব্যাবধানে সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হন।অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটের নিরিখে আলিপুরদুয়ার লোকসভার ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দল গেরুয়া শিবিরের কাছে সাতাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।বামেরা চলে যায় তৃতীয় স্থানে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় কাটাছেঁড়া।গত ৩১ অক্টোবর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী।তার মৃত্যুর পরেই ফের ফালাকাটার উপনির্বাচন নিয়ে জেলার রাজনৈতিক আসর সরগরম।
২০১৯ লোকসভার নির্বাচনের ফলাফলের পর রাজ্যে বেশ কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছিলো রাজ্যের শাসকদল। তবে সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলে বাড়তি অক্সিজেন পায় শাসক দল তৃনমুল।

Conclusion:এখন দেখার একদিকে এন,আর,সি/ সি,এ,এ/ক্যাব নিয়ে ডামাডোল দেশ জুড়ে। অন্যদিকে রাজ্যের তিন উপনির্বাচনে শাসকদলের অভূতপূর্ব ফলাফলের প্রভাবের কতটা ফায়দা তুলতে পারে শাসকদল তৃনমূল।                                                                              
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.