আলিপুরদুয়ার, 7 জুন : বিজেপি-ই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে মদত দিচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে কেএলও প্রধানের হুমকির পর এমনটাই অভিযোগ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতৃত্বের (TMC alleges that BJP backs separatist forces like KLO) ৷ আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীর অভিযোগ, বিজেপি সাংসদরা যে পৃথক রাজ্যের দাবি করছেন, সেই দাবিকে সমর্থন এবং মদত দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও ৷ সোমবার এক ভিডিয়ো বার্তায় কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান জীবন সিং মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দেন ৷ যেখানে কোচ কামতাপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে পা-রাখতে নিষেধ করেছেন জীবন সিং ৷
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে তাঁকে কোচ কামতাপুরে পা না-রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও প্রধান ৷ নতুবা রক্তবন্যা বইবে বলেও হুমকি দিয়েছেন জীবন সিং ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে 'বহিরাগত' বলেও ভিডিয়ো বার্তায় উল্লেখ করেছেন কেএলও প্রধান ৷ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে পা রাখলে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোচ কামতাপুরের জন্য নিজেদের প্রাণ দিতেও প্রস্তুত ৷ জীবন সিং'য়ের অভিযোগ রাজ্য সরকার কোচ কামতাপুরের নাগরিকদের শোষণ করছে ৷
উল্লেখ্য, কেএলও প্রধান ওই ভিডিয়ো বার্তায় দাবি করেছেন, কোচবিহার মার্জার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী, কোচ কামতাপুরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৷ আর তিন বিজেপি সাংসদ জন বারলা, নীশিথ প্রামাণিক এবং জয়ন্ত কুমার রায় পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন ৷ তাই কোচবিহারবাসীর ভাগ্য তাঁরা নিজেরাই ঠিক করবে, বহিরাগত পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা ঠিক করবে না ৷
আরও পড়ুন : KLO threat to Mamata: কামতাপুরে পা রাখবেন না, উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতাকে হুঁশিয়ারি কেএলও'র
জীবন সিংয়ের এই দাবিকে হাতিয়ার করেই বিজেপিকে নিশানা করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ মৃদুল গোস্বামী অভিযোগ করেছেন, কেএলও’র এই বাড়বাড়ন্ত পিছনে বিজেপির পূর্ণ মদত রয়েছে ৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে মদত দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে ৷ মৃদুল গোস্বামী বলেন, "আমরা রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে আগেই বলেছি ৷ আমরা বাংলা ভাগ চাই না ৷ কার মুখ দিয়ে বিজেপি সাংসদদের কথা বের হল সেটা দেখার বিষয় ৷ এতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিজেপি বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দিচ্ছে ৷"
তবে কেএলও প্রধানের মুখে বিজেপি সাংসদদের নাম প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিজেপির কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, "কে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বলেছেন ? সেটা তাদের বিষয় ৷" তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গে মানুষ বঞ্চিত, তাই বিজেপি উত্তরবঙ্গের কথা তুলে ধরেছে ৷ আর জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের কথা তুলে ধরা তাঁদের কাজ ৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও’র প্রধানের মুখে বিজেপি সাংসদদের নাম কেন ? আর তাঁদের পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থনই বা কেন করছে কেএলও ?