ETV Bharat / state

নদীর গেঁড়ি-গুগলি ভরসা বনবস্তির মানুষের

শাকসবজির অভাব পূরণ করছে কচু,ওল, কচি বাঁশ গাছ ইত্যাদি।পাশাপাশি জীবনের পরোয়া না করেই জঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে দলে দলে মানুষ জঙ্গলে প্রবেশ করছে। কোরোনার জেরে গৃহবন্দী গোটা দেশ।তার প্রভাব পড়েছে ডুয়ার্সের চা বলয় এবং জঙ্গল মহলে।

tea belt at dwars
বনবস্তি মানুষ
author img

By

Published : Apr 4, 2020, 11:37 PM IST

Updated : Apr 5, 2020, 12:04 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 4 এপ্রিল :লকডাউনের জেরে বনবস্তি, চা বাগানের বাসিন্দাদের মাছ, মাংসের পরিবর্তে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে নদীর গেঁড়ি,গুগলি, শামুক ও কাঁকড়া। শাকসবজির অভাব পূরণ করছে জংলি কচু,ওল, কচি বাঁশগাছ ইত্যাদি।পাশাপাশি জীবনের তোয়াক্কা না করেই জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে দলে দলে মানুষ জঙ্গলে প্রবেশ করছে। কোরোনার জেরে গৃহবন্দী গোটা দেশ। তার প্রভাব পড়েছে ডুয়ার্সের চা বলয় এবং জঙ্গলমহলে।

কোরোনাভাইরাসের জন্য লকডাউনের জেরে বন্ধ চা বলয়ের কাজ। কর্মহীন কয়েক হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। রুজিরুটি হারিয়েছেন বনবস্তির মানুষ । প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক দল বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মদতে চাল,ডাল,গম, আটা ত্রাণে মিললেও মিলছে না শাকসবজি।লকডাউনের জেরে হাতে কানাকড়ি নেই চা বলয় এবং বনবস্তি মানুষদের পকেটে।স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টির অভাব মেটাতে চা বাগিচার মানুষ ও বনবস্তির বাসিন্দারা এই কঠিন সময়ে জঙ্গল ও নদীর উপর নির্ভর করছেন ।


জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বুক চিরে বয়ে চলা হলং, তোর্সা , চরতোর্সা , বক্সা টাইগার রিজার্ভের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা গরম,ডিমা,কালজানি, গদাধর, নদীর উপর মানুষ ভরষা করছেন । জ্বালানি কাঠ এবং বুনো কচু, ওল, কচি বাঁশ সংগ্রহে জঙ্গলে প্রবেশ করছে দলে দলে বনবস্তি, চা বাগানের বাসিন্দারা। শিশুদেরও পুষ্টির অভাব পূরণ করতে নদীর গুগলি, গেঁড়ি, কাঁকড়াই এখন ভরসা জঙ্গল পার্শ্ববর্তী মানুষদের।


কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি জানান, লকডাউনের জেরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে জঙ্গলমহলের মানুষ এখন প্রকৃতির আশ্রয়ে ভরসা পাচ্ছে। তবে জঙ্গলে বুনো জন্তুর হামলায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।বক্সা টাইগার রিজার্ভ কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে।তবে এ সম্পর্কে বক্সা বাঘ্র প্রকল্প কিংবা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ কোন মন্তব্য করেনি।

আলিপুরদুয়ার, 4 এপ্রিল :লকডাউনের জেরে বনবস্তি, চা বাগানের বাসিন্দাদের মাছ, মাংসের পরিবর্তে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে নদীর গেঁড়ি,গুগলি, শামুক ও কাঁকড়া। শাকসবজির অভাব পূরণ করছে জংলি কচু,ওল, কচি বাঁশগাছ ইত্যাদি।পাশাপাশি জীবনের তোয়াক্কা না করেই জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে দলে দলে মানুষ জঙ্গলে প্রবেশ করছে। কোরোনার জেরে গৃহবন্দী গোটা দেশ। তার প্রভাব পড়েছে ডুয়ার্সের চা বলয় এবং জঙ্গলমহলে।

কোরোনাভাইরাসের জন্য লকডাউনের জেরে বন্ধ চা বলয়ের কাজ। কর্মহীন কয়েক হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। রুজিরুটি হারিয়েছেন বনবস্তির মানুষ । প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক দল বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মদতে চাল,ডাল,গম, আটা ত্রাণে মিললেও মিলছে না শাকসবজি।লকডাউনের জেরে হাতে কানাকড়ি নেই চা বলয় এবং বনবস্তি মানুষদের পকেটে।স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টির অভাব মেটাতে চা বাগিচার মানুষ ও বনবস্তির বাসিন্দারা এই কঠিন সময়ে জঙ্গল ও নদীর উপর নির্ভর করছেন ।


জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বুক চিরে বয়ে চলা হলং, তোর্সা , চরতোর্সা , বক্সা টাইগার রিজার্ভের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা গরম,ডিমা,কালজানি, গদাধর, নদীর উপর মানুষ ভরষা করছেন । জ্বালানি কাঠ এবং বুনো কচু, ওল, কচি বাঁশ সংগ্রহে জঙ্গলে প্রবেশ করছে দলে দলে বনবস্তি, চা বাগানের বাসিন্দারা। শিশুদেরও পুষ্টির অভাব পূরণ করতে নদীর গুগলি, গেঁড়ি, কাঁকড়াই এখন ভরসা জঙ্গল পার্শ্ববর্তী মানুষদের।


কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি জানান, লকডাউনের জেরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে জঙ্গলমহলের মানুষ এখন প্রকৃতির আশ্রয়ে ভরসা পাচ্ছে। তবে জঙ্গলে বুনো জন্তুর হামলায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।বক্সা টাইগার রিজার্ভ কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে।তবে এ সম্পর্কে বক্সা বাঘ্র প্রকল্প কিংবা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ কোন মন্তব্য করেনি।

Last Updated : Apr 5, 2020, 12:04 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.